আজ খবর ডেস্ক: কর্ণাটকের (Karnataka) একজন প্যাথলজিস্ট (Pathologist) মুম্বাইয়ের প্যাথলজি ল্যাবে তাঁর সই ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন। অবশ্যই টাকার বিনিময়ে। সই ধার দেওয়ার জন্য দু ‘বছরের জেল হল তাঁর। জানা গিয়েছে তিনি একজন ল্যাব টেকনিশিয়ান। স্বীকৃত চিকিৎসক নন। অর্থাৎ এই ব্যক্তি একজন ভুয়ো ডাক্তার।
মুম্বাইয়ের এই ল্যাব এর বিরুদ্ধে অভিযোগ, একজন স্বীকৃত এমডি (MD) চিকিৎসক দ্বারা যাচাই না করেই ল্যাব রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছিল রোগীদের। রক্ত পরীক্ষাই শুধু নয়, জানা গিয়েছে ইসিজি (ECG), এক্স-রে (X Ray) সহ প্রায় সব রকমের শারীরিক পরীক্ষা হতো সেখানে।
সম্প্রতি পুলিশে একাধিক অভিযোগ দায়ের হয়। তদন্তের পর গ্রেপ্তার করে আদালতে নেওয়া হয় তাঁদের।
দুই অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে মুম্বাইয়ের সিভিল জজ আদালত। দুই বছরের কারাদণ্ডের সাজা হ তাঁদের। এই দুজন, কর্ণাটক-ভিত্তিক ডাক্তারের পাশাপাশি DMLT, যিনি মুম্বাই প্যাথল্যাব চালাচ্ছিলেন তাঁকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি একজন ডাক্তারকে রক্ত ও প্রস্রাব পরীক্ষার জন্য জাল প্যাথলজি রিপোর্ট ইস্যু করেছিলেন। এই চিকিৎসক নিজেই একজন প্যাথলজিস্ট এবং মুম্বাইয়ের মাইক্রোবায়োলজিস্টদের একটি সমিতির সদস্যও।
জেলের মেয়াদ ছাড়াও বেঞ্চ তাঁদের বেল বন্ড জমা করতে বলেছে। এছাড়াও, অভিযুক্তদের একজনকে ১,৫৫,০০০ টাকা জরিমানা দিতে বলা হয়েছে। অন্যজনকে ১,২৫,০০০ টাকা দিতে বলা হয়েছে।
দুই অভিযুক্তের নাম অরবিন্দ শ্রীধর যাদব এবং বিবেকানন্দ পরশুরাম হোঙ্কেরি। অভিযোগকারী ডাঃ রাজু জয়রাজ রাও, যিনি মহারাষ্ট্র অ্যাসোসিয়েশন অফ প্র্যাকটিসিং প্যাথলজিস্ট এবং মাইক্রোবায়োলজিস্ট কমিটির সদস্য।
অভিযুক্ত অরবিন্দ যাদব প্রয়োজনীয় যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও “ডাক্তার” উপাধি ব্যবহার করছিলেন। ডিএমএলটি’র বিরুদ্ধে অভিযোগ, সব কিছু জেনেও ওই ভুয়ো চিকিৎসকের স্বাক্ষরযুক্ত ল্যাব টেস্ট রিপোর্টগুলি স্বাক্ষর করেছিলেন।