আজ খবর ডেস্ক: বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় জলের নিচে বেড়ে ওঠা বিশ্বের বৃহত্তম উদ্ভিদ আবিষ্কার করেছেন।

শার্ক বে

পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার শার্ক বে (Shark Bay) অঞ্চলে আবিষ্কৃত উদ্ভিদটি ২০০ বর্গ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। উদ্ভিদটির নাম পোসিডোনিয়া অস্ট্রেলিস (Posidonia australis)।

ইউনিভার্সিটি অফ ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া (University of Western Australia) এবং ফ্লিন্ডার্স ইউনিভার্সিটির (Flinders University) গবেষকরা যৌথভাবে এই উদ্ভিদটি আবিষ্কার করেন।

গবেষকদের মতে, বিরাট তৃণভূমির চেহারা নিলেও একটি মাত্র বীজ থেকেই ওই গাছটির জন্ম। আশ্চর্য উপায়ে সেটি নিজের প্রতিরূপ তৈরি করে ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে এলাকার পর এলাকা জুড়ে। এবং রঙিন করে তোলে সমুদ্রপৃষ্ঠ। গবেষকদের মতে, এই উদ্ভিদ প্রায় ৪৫০০ বছর বয়সী এবং ১৮০ কিমি লম্বা।

জানা গিয়েছে, সম্প্রতি পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা সমুদ্র তলদেশের উদ্ভিদ নিয়ে গবেষণা করছিলেন। সেই সময় তাঁরা পোসিডোনিয়া অস্ট্রেলিসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা চালান।

তাতেই বোঝা যায়, সমুদ্রের তলদেশ বিরাট তৃণভূমির চেহারা নিলেও আসলে তা একটিমাত্র উদ্ভিদ। উদ্ভিদটির বিভিন্ন জায়গা থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তাতে একই ডিএনএ-র উপস্থিতি নিশ্চিত করা গেছে। এই ঘটনায় বিজ্ঞানীরাও অবাক হয়েছেন।

সূত্র অনুসারে, গবেষকরা বলেছেন যে উদ্ভিদটি “পসিডোনিয়া অস্ট্রালিস” সাগর ঘাসের একটি ক্লোন এবং পৃথিবীর যে কোনও পরিবেশে ক্লোনের বৃহত্তম পরিচিত উদাহরণ। এটি ৮৫০০ বছরের আগে শার্ক বে এলাকায় প্লাবিত হওয়ার পরে অগভীর জলে তৈরি হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। উদ্ভিদের অস্বাভাবিক আকার ছাড়াও, হাজার হাজার বছর ধরে বেঁচে থাকার ক্ষমতাও যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। এর থেকে বোঝা যায় যে উদ্ভিদটি চরম জলবায়ু পরিবর্তন সহ্য করেও বেঁচে থাকতে পেরেছে। তবে এই জাতীয় উদ্ভিদের তেমন ফুল বা বীজ হয় না।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *