আজ খবর ডেস্ক: তিনি অন্যরকম। তিনি গ্ল্যামারাস। তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের সাংগঠনিক দক্ষতার সঙ্গে মিশে থাকে কখনও বিতর্ক, কখনও ব্যতিক্রমী আচরণ। তিনি মদন মিত্র। উত্তর ২৪ পরগণার কামারহাটি কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক।


বৈচিত্রের রাজনীতির সমান্তরালে চলে মদন মিত্র’র সাজগোজ, বক্তৃতা।
তিনি অকুতোভয়। তাই রং বেরঙের সানগ্লাস অথবা লাল ধুতির সঙ্গে ঘিয়ে রঙের পাঞ্জাবি! নীল জিন্সের সঙ্গে কলার তোলা টি শার্ট! অথবা নিখাদ সুইমিং কস্টিউমে জলের মধ্যে ভাসতে ভাসতে MM Live।

একসময় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) দলের কর্মী সম্মেলনে বলেছিলেন, “মদন আমাদের কালারফুল নেতা।” এদিন সকাল সকাল রাজ্য বিধানসভায় ধুতি পাঞ্জাবির সঙ্গে ক্রকস পরে গ্ল্যামার-ঝড় তুললেন মদন মিত্র।


শুক্রবার বিধানসভায় যখন মদন মিত্র ঢোকেন তখন দেখা যায়, তাঁর পরণে ঘিয়ে রঙের তসরের পাঞ্জাবি, হলুদ রঙের কোচানো পাড়ের সিল্কের ধুতি। আর পায়ে সাদার উপর প্রিন্টেড ক্রকসের স্যান্ডেল। সঙ্গে চোখে হলুদ রঙের সানগ্লাস। এই সাজে মদন কে অধিবেশন কক্ষে আসতে দেখেই উপস্থিত বিধায়করা বলে ওঠেন, “সত্যিই কালারফুল নেতা”!

অধিবেশন শেষে বাইরে আসতেই মদন মিত্র কে ছেঁকে ধরেন সাংবাদিকরা। সরস মন্তব্য করতে ছাড়েন নি সতীর্থ বিধায়করাও।
মদন বলেন, “ব্রিটিশরা যখন ন্যাশনাল লাইব্রেরি তৈরি করেছিল, তার পাল্টা মিনার্ভা থিয়েটারের পাশে রবীন্দ্রনাথ তৈরি করেছিলেন চৈতন্য লাইব্রেরি। আজ সেই চৈতন্য লাইব্রেরিতে একটা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যাব। সেখানে জিন্স পরে, কলার তুলে যাওয়াটা শোভা পায় না। তাই ধুতি-পাঞ্জাবি পরলাম।”

সেই ফেসবুক লাইভ দেখুন এখানে

তৃণমূল বিধায়কের ঘনিষ্ঠ মহল অবশ্য বলছে, হতে পারে বর্ষার কারণেই ধুতির সঙ্গে পায়ে ক্রকস পরেছেন তিনি। নইলে সারা বছর স্নিকার্সই পরেন। মাঝে মাঝে ধুতি পরলে সঙ্গে পায়ে কোলাপুরি চটিও দেখা যায়। তবে ধুতি-পাঞ্জাবির সঙ্গে ক্রকস পরে যেন ফ্যাশনের ফিউশন বানালেন মদন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *