আজ খবর ডেস্ক:
রাজনীতির কোনও মরসুম হয় না। সারা বছর, ফি রোজ চর্চা চলতে থাকে। কিন্তু আম?
আম তো বিশেষ মরসুমি ফল! অতএব এক ঢিলে দুই পাখি মারার এহেন সুযোগ কে ছাড়ে?
গরমে আম ও খাওয়া হল। আবার রাজনৈতিক সৌজন্য, বৈদেশিক কূটনীতি ও হল। যাকে বলে, সোনায় সোহাগা।
ঠিক যেমন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
রাজনীতির মঞ্চে তাঁর প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলার সেরা আম পাঠালেন মমতা। শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী নন, তালিকায় রয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং-সহ আরও অনেকে । দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) মন্ত্রিসভার মোট ১৮ জন সদস্যের কাছে যাচ্ছে এই আম ।

সূত্রের খবর, হিমসাগর, ল্যাংরা, আম্রপালী এবং লক্ষ্মণভোগ। এই চার রকমের আম বাংলা থেকে যাচ্ছে দিল্লির
আম-দরবারে।
প্রত্যেকটি আমেরই খ্যাতি জগৎজোড়া ৷ প্রধানমন্ত্রী-সহ বাকিদের পাঠাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এছাড়াও, বাংলা থেকে যে আম প্রতিবছর দিল্লিতে যায়, সেই আমে রাজধানী মেতে ওঠে ‘আম মেলা’য় (Mango Festival)। এবছরও দিল্লিতে বাংলার আমের সেই মেলা শুরু হয়েছে। নানা ধরনের আম দিয়ে সেজেছে মেলা প্রাঙ্গণ। সেই মেলায় উৎসবের আমেজে ভিড় করছেন দিল্লির আম জনতা।

অন্যদিকে ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্য আম পাঠালেন বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)।
শুক্রবার দুপুরেই উপহার হিসেবে ১ হাজার ২০০ কেজি ‘আম্রপালি’ আম পৌঁছে দেওয়া হয় ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে।


নয়াদিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কূটনৈতিক মহলের মাধ্যমে উপহার স্বরূপ এই আম পৌঁছে দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, প্রতিবছর নিয়ম করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আম ও ইলিশ উপহার হিসেবে ভারতে পৌঁছয়। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই উপহার দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ককে সুদৃঢ় করে।

অন্যদিকে, বাংলায় এই মুহূর্তে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি (BJP)। আবার সর্ব ভারতীয় রাজনীতির প্রেক্ষিতে ও মোদি বনাম মমতা’র রাজনৈতিক লড়াই সর্বজন বিদিত। সদ্য দিল্লি থেকে ঘুরে এলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। দেশের ও বিজেপি রাজনৈতিক দলগুলোকে এক মঞ্চে এনে আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সর্বসম্মত প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে বৈঠক করতেই দিল্লি গিয়েছিলেন মমতা।


প্রায় প্রত্যেক দিন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব নিয়ম করে তোপ দাগেন সিবিআই (CBI), ইডি’র (ED) মত কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে। অভিযোগ করে থাকেন, রাজনৈতিক স্বার্থে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোকে ব্যবহার করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। আবার অন্যদিকে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, কেন্দ্রের প্রকল্পকে নতুন নাম দিয়ে চালাচ্ছে রাজ্য সরকার।
তবে তার জন্য কি আর রাজনৈতিক সৌজন্যে বন্ধ রাখা যায়? অতএব, “আম সূত্র”।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *