আজ খবর ডেস্ক:
রক্তাল্পতা বা ‘অ্যানিমিয়া’ (Anemia) একটি পৃথিবীব্যাপী সমস্যা। বিশেষ করে মহিলা ও শিশুরাই এর শিকার। শুধু অনুন্নত বা উন্নয়নশীল দেশগুলিই নয়, বিশ্বের অনেক উন্নত দেশেও এই সমস্যা রয়েছে।
একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্ব জুড়ে ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী প্রায় ৬১ কোটি মহিলা রক্তাল্পতায় ভোগেন। আর আমাদের দেশের নিরিখে তা প্রায় ৫১ শতাংশ।
এমনিতে পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের ‘আয়রন’-এর চাহিদা একটু বেশিই। কারণ, প্রতি মাসে পিরিয়ডের সময় মহিলাদের শরীর থেকে রক্তের সঙ্গে গড়পড়তা প্রায় ১২.৫ মিলিগ্রাম করে ‘আয়রন’ বেরিয়ে যায়।
ঋতুস্রাবের (Menstruation) সময়ে বা অন্তঃসত্ত্বা (Pregnant) থাকাকালীন অনেকেই রক্তাল্পতায় ভোগেন। হিমোগ্লোবিনের অভাবে ক্লান্তি, ফ্যাকাশে ত্বক, শ্বাসকষ্ট, দ্রুত বা অনিয়মিত হার্টবিট, শক্তির অভাব, চুল পড়া, উচ্চ রক্তচাপ বা নিম্ন রক্তচাপের মত সমস্যা দেখা দেয়।
একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের হিমোগ্লোবিন কাউন্ট ১৪ থেকে ১৮ মিলিগ্রাম হওয়া উচিত। মহিলার ক্ষেত্রে তা ১২ থেকে ১৬ মিলিগ্রাম। খাদ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন থাকলেই দূর হতে পারে এই সমস্যা।
এক্ষেত্রে প্রয়োজন অনুযায়ী নানা ধরনের খাবার বেশি করে খেতে হয় ।
১) শরীরে আয়রন বাড়ানোর জন্য লাল শাক, কাঁচকলা, খেজুর, থোড় ইত্যাদি খেতে হবে।
২) সবুজ শাক, সবজি খান ফলিক অ্যাসিডের জন্য।
৩) ভিটামিন বি১২ পেতে খেতে হবে মাছ, মাংস।
৪) নিরামিষাশী মানুষজন খেতে পারেন দুধ।
৫) রক্তে আয়রনের মাত্রা বাড়াতে রোজের খাদ্যতালিকায় রাখুন খেজুর। এই ফলটি পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ, আবার এতে রয়েছে অসাধারণ কিছু ঔষধিগুণ।
৬) দেহে রক্তের অভাব দূর করতে বেদানার ভূমিকা দারুণ। এতে আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এগুলি দেহে হিমোগ্লোবিন বাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করে।
৭) পালং শাক শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে।
পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। এটি শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সহায়তা করে।
আবার রক্তের অভাব দূর করতে মেথি খুব উপকারি বলে মনে করা হয়। এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে যা লোহিত রক্তকণিকা বাড়াতে সহায়তা করে। মেথি পাতা এবং বীজ উভয়ই উপকারি।
রোজের ডায়েটে সবুজ শাক পাতা আর ফলমূল থাক। তাহলেই রক্তাল্পতা কে হাসিমুখে “গুডবাই” বলতে পারবেন।