আজ খবর ডেস্ক: নওসাদ সিদ্দিকী। রাজ্য বিধানসভায় তৃণমূল ও বিজেপি বাদে একমাত্র বিধায়ক।
প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়ে ভাঙড় থেকে জিতে এসেছেন আইএসএফের (ISF) এই নেতা।


নিজের বিধানসভায় এলাকার বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে বারবার তাঁকে সরব হতে দেখা গিয়েছে বিধানসভার অন্দরে।
যেমন সম্প্রতি তাঁকে দেখা গেল পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় উল্লেখ পর্বে সেচ ও জলপথ মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে। ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের কচুয়া উত্তর পাড়া থেকে ছেলেগোয়ালিয়া পর্যন্ত সংযোগকারী ভগ্নপ্রায় ও বিপজ্জনক সেতুটির সংস্কার করার বিষয়ে সরব হয়েছেন তিনি।

শুধু বিধায়ক নন, স্থানীয় বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ ভাঙড় বিধানসভার অন্তর্গত কচুয়া উত্তরপাড়া থেকে ছেলেগোয়ালিয়া সংযোগকারী সেতুটি কার্যত ভগ্নপ্রায় ও বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে।
এমনকি সেতুটির এক প্রান্ত ইতিমধ্যেই ভেঙে পড়েছে।
যানবাহন যাওয়া তো দূরের কথা, এই সেতুর ওপর দিয়ে বাইক পর্যন্ত চালানো যায় না। ফলে কেউ অসুস্থ হলে, রীতিমত কোলে করে রোগীকে এই সেতু পার করাতে হয়।
অথচ, এই সেতুর ও পর বহু মানুষ নির্ভরশীল। সেতুর এই বেহাল অবস্থার জন্য যান বাহন এবং চলাচলের ক্ষেত্রে প্রবল সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন এলাকার মানুষ।

এমনকি, এলাকার মানুষের অভিযোগ বারবার বলার পরেও স্থানীয় পঞ্চায়েত এই সেতু মেরামতির কোনও ব্যবস্থা করছে না।
প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই ছাত্রছাত্রীরা এই সেতু পার করে স্কুলে পৌঁছচ্ছেন। কৃষক ও সব্জি ব্যবসায়ীরা বহুবার দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন। এখন বাধ্য হয়ে অনেকটা ঘুর পথে যাতায়াত করছেন।
এদিন নাওসাদ সিদ্দিকী aajkhobor.com কে বলেন, “আমি কাউকে দোষারোপ করছি না। কিন্তু বারবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও কাজ হয় নি। তাই সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি, এই সেতুটি দ্রুত সংস্কার করে ব্যবহারের উপযোগী করে তুলুন।”

সেতুটির একটি ভিডিও আমাদের হাতে এসেছে। যেখানে স্পষ্টত দেখা যাচ্ছে, ব্রিজের দুই ধার ভাঙা। নিচে খাল থাকায় সেতু ব্যাবহার করা ছাড়া উপায় নেই। কিন্তু, আড়াআড়ি ভেঙে পড়ার পাশাপাশি সেতুর শুরু ও শেষ বলে কিছুই চোখে পড়ছে না। এবড়োখেবড়ো, গর্ত সঙ্কুল রাস্তা কোনও মতে পার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। যে কোনও দিন যা থেকে বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *