আজ খবর ডেস্ক: এই মুহূর্তে রাজ্যের অন্যতম বিতর্কিত রাজনীতিক। বাম আমলের খাদ্যমন্ত্রী, প্রাক্তন ফরওয়ার্ড ব্লক (Forward Block) নেতা অধুনা তৃণমূল কংগ্রেসের (AITC) শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী।
শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি (SSC) নিয়ে সিবিআই (CBI) তদন্তের মুখে পড়েছেন মেখলিগঞ্জের বিধায়ক। সেই টানাপোড়েন চলাকালীন সামনে এসেছে বাম মন্ত্রিসভায় থাকা তৎকালীন খাদ্য দপ্তরের নিয়োগ দুর্নীতি।
এবার এর মধ্যেই নতুন দায়িত্ব পেলেন পরেশ অধিকারী (Paresh Adhikari)।

পরেশ অধিকারী কে হলদিবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের (Haldibari Rural Hospital) রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান (Chairman Of RKS) নিযুক্ত করেছে রাজ্য
স্বাস্থ্য দপ্তর।
শুক্রবারই স্বাস্থ্য ভবনের তরফে বাংলার ২১৮টি গ্রামীণ হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানের নামের তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিন সকালে সেই তালিকা সামনে আসতেই দেখা যায় ৩৮ নম্বরে নাম রয়েছে পরেশ অধিকারীর।

প্রসঙ্গত, রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের মাথায় রয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
অন্যান্য অনেক মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদরা একাধিক হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়ে থাকেন। যেমন, তৃণমূলের আরেক বিতর্কিত বিধায়ক চিকিৎসক নির্মল মাজি দীর্ঘদিন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির দায়িত্বে ছিলেন। সম্প্রতি একাধিক বিতর্কের কারণে তাঁকে সেই পদ থেকে অপসারিত করা হয়েছে।
তবে নতুন তালিকা অনুসারে পরেশ অধিকারী কে শুধু একটি হাসপাতালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

অন্য অনেকেই অবশ্য একাধিক হাসপাতালের দায়িত্বে আছেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, ৫টি হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার।
তবে পরেশ কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর স্কুল সার্ভিস কমিশনের চাকরিতে নিয়োগকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। চাকরি যাওয়ার পাশাপাশি গত কয়েক বছরের পাওয়া বেতন ফেরানোর নির্দেশ ও দেওয়া হয়েছে মন্ত্রী কন্যা কে।
পরেশকে পরপর ৩ দিন জেরা করে সিবিআই। তা ছাড়াও কলকাতায় আসার পথে বাবা-মেয়ের উধাও হয়ে যাওয়া-সহ নানান ঘটনায় পরেশ অধিকারী চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছিলেন।

এখনও মন্ত্রিত্বের দায়িত্বে রয়েছেন পরেশ। জেলায় ফিরে দলের কাজও করছেন পুরোদমে। কিন্তু বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর তরফে বারবার দাবি উঠেছে, আদালতে দুর্নীতির অভিযোগ আংশিক প্রমাণিত হওয়ার পরেও রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর পদে এখনও কেন তিনি থাকবেন?
কেন তাঁকে সেই পদ থেকে সরানো হবে না? বস্তুত, রাজনৈতিক মহলের একাংশের বক্তব্য, পঞ্চায়েত ভোটের আগে এসএসসি নিয়োগে দুর্নীতি শাসক দলের বিরুদ্ধে বাম, বিজেপির বড় ইস্যু। এই পরিস্থিতিতে হাসপাতালে রোগীদের কল্যাণ দেখার দায়িত্ব পেলেন এই বিতর্কিত মন্ত্রী।
শাসক দলের অন্দরে অবশ্য প্রবল কানাঘুষো, মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে পরেশ কে। সে ক্ষেত্রে আপাতত একেবারে হাত খালি হয়ে যাওয়ার আগে একটি দায়িত্ব দিয়ে রাখা হল তাঁকে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *