আজ খবর ডেস্ক:
করোনার চতুর্থ ঢেউ নিয়ে আশঙ্কা ক্রমশ বাড়ছে। এই আবহে কলকাতায় হদিশ মিলেছে মাঙ্কিপক্স, টম্যাটো ফ্লু’র মত ভাইরাসের।
এবার আতঙ্ক যেন আরও বাড়ল! খোদ কলকাতায় পাওয়া গিয়েছে পোলিওর জীবাণু! প্রায় ১১ বছর পর পোলিওর জীবাণুর হদিশ মিলল কলকাতায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) নজরদারিতে কলকাতা কর্পোরেশনের (KMC) ১৫ নম্বর বোরোর গার্ডেনরিচ এলাকার একটি নর্দমায় খোঁজ মিলেছে পোলিও ভাইরাসের।

কলকাতা পুরসভার একটি সূত্র বলছে, দিনকয়েক আগে মেটিয়াবুরুজের নর্দমার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতেই মেলে পোলিও ভাইরাস। তিন-চারদিন আগে তা নিয়ে স্বাস্থ্যদপ্তরে একটি জরুরি বৈঠকও ডাকা হয়। যদিও সংবাদ মাধ্যমের থেকে বিষয়টি গোপন রেখেছিল প্রশাসন। ওই বৈঠকে পোলিও ভাইরাস নিয়ে আলোচনাও হয়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকা শিশুদের ওপর বিশেষ নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য দপ্তরের অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী।

সেই নিয়ে বোরো ১৫-র তৃণমূল কংগ্রেস চেয়ারম্যান রঞ্জিত শীলের বক্তব্য, “লকডাউনের আগে অর্থাৎ করোনাকালের আগে গার্ডেনরিচ এলাকায় সেই অর্থে পোলিও আক্রান্ত কেউ ছিল না। পাশাপাশি পোলিও টিকাকরণ ঠিকঠাক হয়েছে। কিন্তু করোনা এবং লকডাউনের সময় বিভিন্ন কারণবশত পোলিও টিকাকরণ গার্ডেনরিচ এলাকায় সেই অর্থে হয়নি এবং মানুষকে পোলিও নিয়ে সচেতন করা যায়নি। তাই হয়ত পোলিও ভাইরাস আবার পাওয়া গেল।”
যদিও পুরসভার দাবি, ইতিমধ্যে তাদের তরফ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং হচ্ছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা জাগানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে এবং পোলিও টিকাকরণের পরিমাণ বাড়ানো হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে হাওড়ার একটি দু’বছরের মেয়ে পোলিওতে আক্রান্ত হয়েছিল। এরপর আজ পর্যন্ত একটিও পোলিও সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়নি। ওই মেয়েটির পোলিও সংক্রমণও ছিল দেশে সর্বশেষ পোলিও সংক্রমণ।
এর পরে, ১৭ই মার্চ, ২০১৪তে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ভারতকে পোলিও মুক্ত দেশ হিসাবে ঘোষণা করে।


সেসময় রাজ্যগুলির সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারও দ্রুত পোলিও টিকাদান অভিযান চালিয়েছিল। মনে করা হয় রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকার তুলনায় শহর কলকাতায় প্রশাসনের নজর অনেক বেশি থাকে। তারপরেও কী ভাবে পোলিওর জীবাণু পাওয়া গেল তা খতিয়ে দেখার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে শহরে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *