আজ খবর ডেস্ক:
২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের বিরোধী জোটের ক্ষমতা প্রদর্শনের তৈরি হল। ১৮ই জুলাই দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন(Presidential Election)। আগামী ১৫ই জুন, মনোনয়ন পেশের শেষ দিন। আপাতত সেই নিয়ে সরগরম দেশের রাজধানী।
১৩ই জুন অর্থাৎ বুধবার দিল্লি যাচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


সেদিনই বিজেপি বিরোধী ১৯টি রাজনৈতিক দলের নেতাদের একটি বৈঠকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
সূত্রের খবর, ১৫ জুন দিল্লির কন্সস্টিটিউশন ক্লাবে(Constitution Club) এই বৈঠক হবে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে আলোচনা এই বৈঠকের মূল বিষয় বলেই রাজনৈতিক মহলের ধারণা।

এখনও পর্যন্ত আমন্ত্রিতদের যে তালিকা পাওয়া গেছে, তা হল:

১) পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান
২) ঝাড়খণ্ডের হেমন্ত সোরেন
৩) ওড়িশার নবীন পট্টনায়ক
৪) মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে
৫) কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী(এই মুহূর্তে কোভিড সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন)
৬) এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার
৭) সিপিএম নেতা পিনারাই বিজয়ন
৮) অরবিন্দ কেজরিওয়াল(আপ)
৯) কে চন্দ্রশেখর রাও (টিআরএস)
১০) এমকে স্ট্যালিন (ডিএমকে)
সহ ১৯ দলের ২২ জন বিরোধী নেতানেত্রীকে চিঠি দিয়েছেন মমতা।


বৈঠকে বিরোধীদের তরফে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের কৌশল নিয়ে আলোচনা করতে চান তৃণমূল নেত্রী। কার কী মতামত, তা-ও জানতে চান তিনি।

যদিও দিল্লি সূত্রে খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হঠাৎ নেওয়া এই পদক্ষেপে কিঞ্চিৎ হতচকিত লোকসভার প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস(Congress)।
একটি বিবৃতি দিয়ে কংগ্রেসের তরফে বলা হয়েছে, দলের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী(Sonia Gandhi) “আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ইস্যুতে শরদ পাওয়ার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) এবং অন্যান্য বিরোধী নেতাদের সাথে যোগাযোগ করেছেন। আলোচনা করেছেন অন্যান্য বিরোধী নেতাদের সঙ্গেও। কোভিডের কারণে এবং অসুস্থ স্বাস্থ্যের পরিপ্রেক্ষিতে অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় করার জন্য মল্লিকার্জুন খাড়গে কে নিযুক্ত করেছেন সোনিয়া গান্ধী।


এই প্রসঙ্গে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, রাষ্ট্রপতি হিসাবে এমন একজন কে প্রয়োজন যিনি ক্ষমতাসীন দলের(BJP) আক্রমণ থেকে সংবিধান, দেশের জাতীয় প্রতিষ্ঠান এবং নাগরিকদের রক্ষা করতে পারেন।

কংগ্রেস কোনও নির্দিষ্ট নাম প্রস্তাব করেনি। তবে, এনসিপি(NCP) নেতা শরদ পাওয়ারকে (Sharad Pawar) বিরোধী শিবিরের সর্বসম্মত প্রার্থী করার চেষ্টা শুরু হয়েছে বলে রাজধানীর খবর। এমনকি, বুধবার দিল্লিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা বৈঠকে পাওয়ারের নামে সিলমোহর দেওয়ার চেষ্টা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে মহারাষ্ট্রের এই নেতার নামে সহমত হয়েছেন বিরোধী নেতাদের অনেকেই।


এনসিপি নেতার সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও সম্পর্ক যথেষ্ট ভাল। বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে মহারাষ্ট্রের এই প্রবীণ নেতাকে প্রথম থেকেই সামনের সারিতে রেখেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তবে পাওয়ারের নাম নিয়ে তৃণমূল নেত্রীর মত এখনও জানা যায়নি।
বস্তুত, কংগ্রেসও এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে পাওয়ারের নাম জানায়নি। যদিও, এনসিপি এবং শিবসেনা নেতারা একান্তে জানিয়েছেন কংগ্রেসের প্রস্তাবের কথা। পাওয়ার নিজে অবশ্যই এই ব্যাপারে ভাবার জন্য দিন কয়েক সময় চেয়েছেন।

এদিকে আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দেশের প্রথম নাগরিক(President) হওয়ার দৌড়ে অংশ নিতে চলেছেন লালুপ্রসাদ যাদব । ইতিমধ্যেই লালু দিল্লির পথে। লালু জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিহারের একজন প্রতিনিধি থাকা দরকার। সেই দায়িত্ব তিনি নিয়েছেন।
মজার কথা হল, এই লালু বিহারের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের(RJD) সর্বময় প্রধান নন।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া লালু সারণ জেলার বাসিন্দা। তিনি এই প্রথম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে লড়ার চেষ্টা করেছেন তা নয়। সারণের লালুপ্রসাদ ২০১৭ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন।


সে বছর মূল লড়াই ছিল বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে তৎকালীন লোকসভা স্পিকার মীরা কুমারের। তাঁর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে লড়ার আবেদনটি খারিজ হয়ে যায়। তবে এ বছর তেমন হওয়ার সম্ভাবনা কম, বলছেন সারণের লালু।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *