আজ খবর ডেস্ক:
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্যের জেরে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাঁকে । গত ৭ জুন গোয়া থেকে আটক করেছিল কলকাতা পুলিশ। তারপর থেকে জেলেই ঠাঁই হয়েছিল বিতর্কিত ইউটিউবার রোদ্দুর রায়ের (Roddur Roy)।
তবে তাঁর গ্রেপ্তারি নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক দানা বেঁধেছিল নেটিজেনদের একাংশের মধ্যে। রোদ্দুরের মুক্তির দাবিতে পথে নেমেছিল গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতি বা এপিডিআর (APDR)। রবিবার সন্ধে পর্যন্ত রোদ্দুর রায়ের মুক্তির দাবিতে ৯৬১ জন পিটিশনে সই করেছিলেন।
অবশেষে ২০ দিন পর শর্তসাপেক্ষে মিলল মুক্তি। এদিকে রোদ্দুরের জামিনের কথা জানিয়ে সোমবার বিকালেই ফেসবুক পোস্ট করেন পরিচালক কৌশিক মুখোপাধ্যায় ওরফে ‘কিউ’।
পাটুলি থানা, চিৎপুর ও হেয়ার স্ট্রিট থানায় রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে ১২০বি, ৪১৭, ১৫৩, ৫০১, ৫০৪, ৫০৫, ৫০৯ ধারায় মামলা দায়ের হয়। এরপর যুক্ত হয় ১৫৩এ, ৪৬৫, ৪৬৭, ৪৬৮,৪৬৯ ধারা অর্থাৎ সম্মানহানি, অশালীন মন্তব্য,বিদ্বেষমূলক, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, ঘৃণা প্রদর্শন সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়। সেই মামলার তদন্তে নেমেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল রোদ্দুর রায়কে।
সেই সব মামলা থেকেই আপাতত জামিন পেলেন এই ইউটিউবার। সোমবার রোদ্দুর কে ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজির করানো হলে তাঁর বিরুদ্ধে বটতলা থানায় রুজু হওয়া মামলায় অন্তর্বর্তী জামিনের নির্দেশ দেন বিচারক।
তবে সেই সঙ্গে আদালতের তরফে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হল ইউটিউবার রোদ্দুর রায়কে। “জাতীয় পতাকার অবমাননা করেছেন রোদ্দুর রায়, অতএব, ভিডিওতে ক্ষমা চাইতে হবে ইউটিউবারকে” এই মর্মেই রোদ্দুরকে নির্দেশ দিল আদালত।
রবিবার পাটুলি আর লেক থানার মামলায় রোদ্দুর’কে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের নির্দেশ দেয় আলিপুর আদালত। আগেই হেয়ার স্ট্রিট থানার মামলায় জামিন পেয়েছেন ইউটিউবার।
সোমবার তিনি জামিন পেলেন বটতলার মামলায়। তাঁর আইনজীবী ইয়াসিন রহমান বলেন, ‘‘ জামিনের জন্য পাঁচ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ড জমা দিতে হবে। এ ছাড়াও রোদ্দুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি জাতীয় পতাকার অবমাননা করেছেন। তার জন্য অন্য একটি ভিডিও করে ক্ষমা চাইতে হবে তাঁকে। তবে ওই ভিডিও বিচারপ্রক্রিয়ায় ব্যবহার করা যাবে না।’’