আজ খবর ডেস্ক: চমক! কলকাতায় কার্যত প্রথম KK স্মরণ। শনিবার বিকেলে এই অনুষ্ঠান হতে চলেছে কলকাতার অদূরে, উত্তর ২৪ পরগণার বাঙ্গুর এভিনিউতে। ঠিক সন্ধে ৬টায়।


চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার দক্ষিণ কলকাতার নজরুল মঞ্চে (Najrul Mancha) অনুষ্ঠান করার কিছুক্ষণ পরেই মারা যান জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী কেকে(KK)। আকস্মিক এবং দুঃখজনক এই মৃত্যু ঘিরে একের পর এক বিতর্ক উঠে এসেছে সামনে। কখনও তা রাজনৈতিক কখনও আবার সাংস্কৃতিক জগতের।

বিরোধীদের অভিযোগ, কলেজ ফেস্টে তৃণমূল ছাত্র সংসদের(TMCP) তরফে আসন সংখ্যার অতিরিক্ত দর্শক ঢোকানো হয়েছে, টিকিট ব্লাক হয়েছে, এমনকি অসুস্থ বোধ করার পর শিল্পীর প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য একটি অ্যাম্বুলেন্স ও ছিল না কলের বাইরে।
পাল্টা শাসক দলের পক্ষ থেকে তোপ দাগা হয়েছে বিজেপির(BJP) দিকে। বলা হয়েছে “শকুনের রাজনীতি” করছে বিজেপি।


একইসঙ্গে আরেক সংগীতশিল্পী, জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত বাঙালি গায়ক রূপঙ্কর বাগচী’র “বিতর্কিত” ভিডিও ঘিরেও সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে।
শুক্রবার বিকেলে কলকাতার প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেন রূপঙ্কর। কিন্তু তাতে যে বিতর্ক একেবারে থিতিয়ে গিয়েছে তা বলা যায় না।

এই পরিস্থিতিতে সদ্যপ্রয়াত সংগীতশিল্পীর অনুগামীদের মধ্যে ক্রমশ ক্ষোভ বাড়ছিল। এই কলকাতার মঞ্চে শেষ গান গেয়ে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়েন প্রিয় গায়ক। আর সেই গান ছিল, “হাম রহে ইয়া না রহে কাল…”।


অথচ মৃত্যুর পর বেশ কয়েক দিন পেরিয়ে গেলেও বিতর্কে উৎসাহী কলকাতা প্রিয় শিল্পীর স্মরণে এখনও পর্যন্ত একটা ছোট অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারেনি।
সেই পথ দেখাল বাঙ্গুর। কিন্তু ঠিক কী ভাবে? কাদের উদ্যোগ? কেন এই আয়োজন?

বস্তুত এই অনুষ্ঠানটি করা হচ্ছে, সিপিআইএম (CPIM) ছাত্রসংগঠন এসএফআইয়ের (SFI) পক্ষ থেকে। অনুষ্ঠানের নাম, “Remembering KK”।


এসএফআই উত্তর ২৪পরগণা জেলার অন্তর্গত দক্ষিণ দমদম৩ লোকাল কমিটির উদ্যোগে করা হচ্ছে এই অনুষ্ঠান।
এসএফআই উত্তর ২৪ পরগণা জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য, ঋতঙ্কর দাস aajkhobor.com কে জানালেন, ” KKর মৃত্যু দুঃখের, যন্ত্রণার। আমাদের প্রজন্মের কাছে ছোটবেলার প্রথম অনুভূতিগুলোর সাথে জুড়ে থাকা সেতু ভেঙে পড়ার মত যন্ত্রণা।”


এই অনুষ্ঠানের জন্য যে লিফলেট তৈরি হয়েছে, সেখানেও তুলে ধরা হয়েছে একাধিক প্রশ্ন। দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন কলেজে ছাত্র সংসদের নির্বাচন বন্ধ। কারণ কী? নজরুল মঞ্চে সেদিনের ব্যবস্থাপনার জন্য কারা দায়ী? কেন তাদের সামনে আনা হচ্ছে না? একজন শিল্পী অনুষ্ঠান করতে করতে যখন বারবার বলছেন তাঁর অস্বস্তি হচ্ছে এর পরেও কেন তাঁকে অনুষ্ঠান শেষ করতে হল?

তবে সিপিএম ছাত্র সংগঠনের এই উদ্যোগ কে একটু অন্য রকম ভাবেই দেখতে চাইছে ওয়াকিবহাল মহল।
গত কয়েক মাসে কার্যত একের পর এক “রাজনৈতিক সংস্কারের” পথে হেঁটেছে আলিমুদ্দিন।


ছাত্র-যুব দের সামনের সারিতে এগিয়ে দিয়ে শুরু হয়েছিল সেই রেড ভলান্টিয়ার থেকে। এরপর “পাহারায় পাবলিক”, এসএসসি কাণ্ড নিয়ে “চোর ধরো জল ভরো” থেকে শুরু করে ওয়েব সিরিজ পঞ্চায়েতের (Panchayat Web Series) মিম (Meme) দিয়ে প্রচার।
আর এবার KKর স্মরণে অনুষ্ঠান। নতুন প্রজন্মকে কাছে টানার উদ্যোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে পুরো বিষয়টিকে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *