আজ খবর ডেস্ক: তাঁরা দুজন মানেই নতুন কোনও খবর! তাঁরা একসঙ্গে মানেই জমজমাট কিছু একটা। বাঙালির সাধের পরব জামাইষষ্ঠীতে ও চমক দিলেন শোভন চ্যাটার্জি এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।
রবিবাসরীয় সন্ধেবেলায় ফেসবুক জুড়ে ছবির পর ছবি। কোনও ছবিতে অতি যত্নে শোভনের পাতে খাবার তুলে দিচ্ছেন বৈশাখী। কোথাও আবার দেখা যাচ্ছে মেয়ে মহুল কে খাইয়ে দিচ্ছেন “মা” বৈশাখী।


কোনও ছবিতে দেখা যাচ্ছে, শোভন খাচ্ছেন আর পাশে বসে আছেন বৈশাখী।
এমন সব ছবি সামনে আসতেই যথারীতি কৌতুহলী হয়ে পড়েন নেটিজেনদের একাংশ। বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোস্ট থেকে জানা গেল, গোলপার্কের ফ্ল্যাটে এদিন সাড়ম্বরে পালিত হল জামাইষষ্ঠীর।

যদিও এই জামাইষষ্ঠীর অন্য রকম ব্যাখ্যা দিয়েছেন বৈশাখী। নিজের ফেসবুক পোস্টে ছবি দেওয়ার পাশাপাশি বেশ কয়েক লাইন লিখেছেন তিনি।


যার বাংলা করলে দাঁড়ায়, “জামাই ষষ্ঠী মানে মা-ষষ্ঠীর কাছে পুজো দেওয়া। আমার মায়ের কাছে শোভন জামাইয়ের চেয়েও বেশি ছেলে। সঙ্গে আমাদের মেয়ে মহুল ও আছে। ওদের জন্য মায়ের নির্দেশ অনুসারে সবকিছু সাজিয়ে গুছিয়ে নিয়েছি। প্রিয় খাবার উপভোগ করার পাশাপাশি সবাই মিলে আনন্দ করা! যদিও মা খুব অসুস্থ তবুও তিনি সবকিছু ঠিকমত হচ্ছে কিনা তার খোঁজ নিয়েছেন অনবরত। মা সবসময় মা-ই থাকবেন। তিনি সবকিছু তদারকি করেছেন ফোনে আর বারবার আক্ষেপ করেছেন, তিনি নিজেই সমস্ত আনুষ্ঠানিকতা করতে পারেননি।আমরা তোমাকে ভালবাসি মা।❤️”।

প্রসঙ্গত গত কয়েক বছর ধরেই এক সঙ্গে রয়েছেন শোভন বৈশাখী এবং বৈশাখীর কন্যা মহুল। এই নিয়ে রাজনৈতিক এবং সামাজিক বিতর্ক হলেও নিজেদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন নি দুজনের কেউ।
সম্প্রতি বিবাহ বিচ্ছেদের(Divorce) আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে বৈশাখীর।
যদিও বেহালা পূর্ব কেন্দ্রের বিধায়ক ও ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর রত্না চট্টোপাধ্যায়ের থেকে আইনি বিচ্ছেদ মেলে নি শোভনের। তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া এবং তারপর সেখান থেকে সরে আসার পর আপাতত সক্রিয় রাজনীতি থেকে খানিকটা দূরেই রয়েছেন শোভন-বৈশাখী।

এদিনের ছবি থেকে অবশ্য স্পষ্ট, “বিন্দাস” আছেন এই জুটি। থালায় করে সাজানো জিভ জল আনা হরেক পদ। সাদা ভাত, পোলাও, থেকে ভাজা, মাছ, মাংস নিয়ম মেনে সব কিছু সাজিয়ে দিয়েছিলেন বৈশাখী। ইলিশ মাছ, পাঁঠার মাংস ছিল “মাস্ট মেনু”।


মধ্যাহ্ন ভোজের আগের পর্বে ছিল, ফল মিষ্টির “মিনি ভোজ”।
পাঁচ/ছয় রকমের মিষ্টি, পায়েস, ফল দিয়ে সম্পন্ন হয় এই আচার।
গতবছর পুজোর পর, ঠিক বিজয়া দশমীর দিনে সিঁদুর খেলার সময় বৈশাখীর সিঁথিতে সিঁদুর পড়িয়েছিলেন শোভন। সংবাদ মাধ্যমের সামনে নিজেই জানিয়েছিলেন, নিছক সিঁদুর খেলা নয়। বৈশাখীর সিঁথিতে আক্ষরিক অর্থেই সিঁদুর পরালেন তিনি।
দিন কয়েক আগেই বৈশাখী ও মহুলকে নিয়ে সপরিবারে কাশ্মীর থেকে ঘুরে এসেছেন। এবার হল ষষ্ঠী উদযাপন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *