আজ খবর ডেস্ক :
TMC VS BJP একাধিকবার আওয়াজ তুলে শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari) বলেছিলেন, একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদল করে নিজেদে র নামে চালাচ্ছে রাজ্য সরকার।
রাজ্যের মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে।
শুভেন্দু’র অভিযোগ ছিল, “প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা”, “স্বচ্ছ ভারত”, “প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা” সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদল করে নিজেদে র নাম বসাচ্ছে রাজ্য সরকার। উদাহরণ হিসেবে যেমন, “প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা”র নাম করা হয়েছে “বাংলা আবাস যোজনা”, “স্বচ্ছ ভারতে”র নাম করা হয়েছে “মিশন নির্মল বাংলা”, “প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা”র নাম বদলে করা হয়েছে “বাংলা গ্রামীণ সড়ক যোজনা।”

তবে এবার উলট পুরাণ! জেলায় জেলায় চোখে পড়ছে নতুন ছবি। বিরোধী দলনেতা বলেছিলেন, “স্টিকার পাল্টাতে হবে রাজ্যকে”। কার্যত দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন প্রকল্পের সাইনবোর্ড বদল হচ্ছে।

ছবি সৌজন্য: বিজেপি

প্রসঙ্গত, বিষয়টি নিয়ে একদিকে যেমন বঙ্গ বিজেপির(BJP Bengal) তরফে অভিযোগ জানানো হয় শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে, অন্যদিকে সরাসরি
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে(Narendra Modi) চিঠি দিয়েছিলেন শুভেন্দু।
সূত্রের খবর, এরপরই কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের পক্ষ থেকে নবান্নকে একটি চিঠি পাঠানো হয়। যেখানে স্পষ্ট ভাষায় জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প রাজ্যে চালানোর জন্য যে নিয়মগুলি রয়েছে, সেখানে কখনোই নামবদলের কথা বলা নেই। চিঠিতে এও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, “প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা”র নাম বদলে দিয়ে নিয়ম ভঙ্গ করা হয়েছে।

কেন্দ্রের তরফে বার্তা আসে, আবাস যোজনায় প্রধানমন্ত্রীর নাম যদি যুক্ত করা না হয়, সেক্ষেত্রে এই প্রকল্পের টাকা পাঠাবে না কেন্দ্র। এ বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করতে রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল।
এরপর থেকেই প্রকল্পের নাম বদল শুরু হয়েছে।
সেই সম্পর্কেও সাধারণ মানুষকে সজাগ করে ও মুখ্যমন্ত্রী কে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, “কষ্ট তো হবেই ৪০ লক্ষ বাড়িতে স্টিকার তুলতে হচ্ছে বিরোধী নেতার জন্য। লিখতে হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর নাম। এরপর ৭০ লক্ষ বাথরুমেও স্বচ্ছ ভারত লেখানো হবে।”


উল্লেখ্য গত দু’দিন ধরে শুভেন্দু অধিকারী কে গ্রেপ্তারের দাবিতে পথে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস (AITC)। এই নিয়ে মঙ্গলবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করতে যান রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু’র নেতৃত্বে তৃণমূলের এক প্রতিনিধি দল।

এদিকে গেরুয়া শিবিরের খবর অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় সংগঠনের হাল হকিকত খতিয়ে দেখতে আসছেন একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
সূত্রের খবর যেসব মন্ত্রীরা রাজ্যে আসছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ধর্মেন্দ্র প্রধান, কিরেন রিজিজু, ভূপেন্দ্র যাদব, স্মৃতি ইরানিরা।
২০২৩-এ পঞ্চায়েত নির্বাচন। তারপরে ২০২৪-এ লোকসভা ভোট। যার জন্য সংগঠন নিয়ে আগেভাগেই প্রস্তুতি নিচ্ছে গেরুয়া শিবির। জানা গিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা প্রথম পর্যায়ে রাজ্যের অন্তত ১৯ টি লোকসভা কেন্দ্রে যাবেন। থাকবেন, সাংগঠনিক বৈঠক করবেন এবং সেই কেন্দ্রগুলিতে কেন্দ্রীয় প্রকল্প রূপায়ন সম্পর্কে খোঁজ খবর করবেন।
এর সঙ্গে মূল বিষয় থাকছে জনসংযোগ। ১৫ই জুলাইয়ের মধ্যে প্রথম পর্যায়ের প্রস্তুতি শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে গেরুয়া শিবিরের।

TMC VS BJP ২০১৯-এ ১৮টি লোকসভা কেন্দ্রে জয়। কিন্তু তারপর থেকে পরিস্থিতির অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আসানসোল থেকে রেকর্ড ভোটে জয়ী হওয়া বাবুল সুপ্রিয়(Babul Supriyo) তৃণমূলে যোগ দিতেই সেই আসনে রেকর্ড ভোটে হেরেছে বিজেপি। অর্জুন সিং তৃণমূলে ফেরায় শক্তি কমেছে ব্যারাকপুরে। রয়েছে কোচবিহার, রানাঘাটের মতে আসনও।


এছাড়াও বীরভূমের মতে জেলায় সাংগঠনিক নেতারা হয় বসে গিয়েছেন নয় পরোক্ষে দল বিরোধী কাজ করছেন।
বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা বিভিন্ন এলাকায় সাংগঠনিক বৈঠক করার পাশাপাশি সেই বৈঠক থেকে সাংগঠনিক দুর্বলতা খুঁজে বের করার চেষ্টা করবেন। এছাড়াও রাজ্য সরকার যেভাবে কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলিকে নিজেদের বিশেষ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্ভাবিত প্রকল্প বলে চালানোর চেষ্টা করছে,সেই সম্পর্কেও সাধারণ মানুষকে সজাগ করবেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *