আজ খবর ডেস্ক: কানাডিয়ান শিল্পীকে দেখে এই মুহূর্তে বিশ্ব জুড়ে অনুরাগীদের চোখে জল!
যাঁর পারফরমেন্স দেখে চোখের পলক পড়ে না ভক্তদের, আজ সেই জাস্টিন বিবার নিজের চোখের পলক ফেলতে পারছেন না। এমনকি, পারছেন না হাসতেও। অবশ হয়ে গিয়েছে মুখের একদিক। শিল্পীর গুণমুগ্ধরা এককথায় শোকাহত, চিন্তিত। তিনি রামসে হান্ট সিনড্রোমে (Ramsay Hunt Syndrome) আক্রান্ত।
সম্প্রতি জনপ্রিয় পপ তারকা জাস্টিন বিবার জানিয়েছেন, রামসে হান্ট সিনড্রোমে আক্রান্ত হওয়ার কারণে তাঁর মুখের একদিক পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে গিয়েছে।

২৮ বছর বয়সী এই পপ স্টার সম্প্রতি ভিডিয়োয় নিজের অসুখের কথা প্রকাশ করেছেন। তাঁর কথায়, ‘আপনারা অবশ্যই আমার মুখ দেখতে পাচ্ছেন। আমার রামসে হান্ট সিন্ড্রোম নামক এক বিরল রোগ হয়েছে।


এক ভাইরাস থেকে আমার কানের ও মুখের স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যেমন আপনারা দেখতে পাচ্ছেন এই চোখটি নড়ছে না। আমার মুখের এইপাশে হাসির কোনও চিহ্ন নেই। তাই আমার মুখের ডান পাশটি সম্পূর্ণ প্যারালাইজড হয়ে গিয়েছে।’

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই রোগের জন্য দায়ী ভ্যারিসেলা জোস্টার ভাইরাস (varicella-zoster virus)। যে ভাইরাস থেকে চিকেন পক্স ও হয়। অত্যন্ত বেদানাদায়ক এক অসুখ। কারণ ফুসকুড়ি বা ফোস্কাগুলি শরীরের মধ্যে জ্বালাভাব ধরায়। এছাড়া এই সিন্ড্রোমটি মুখের পক্ষাঘাত ও আক্রান্তের শ্রবণশক্তি হ্রাস করে। মারাত্মক ভাইরাসটি মুখের স্নায়ুকে সংক্রমিত করে। সাধারণত মুথের পেশিগুলি প্রথমে আক্রান্ত হয়।
নিউইয়র্ক টাইমসের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, প্রতি এক লক্ষ মানুষের মধ্যে মাত্র ৫ থেকে ১০জন প্রতি বছর রামসে হান্ট সিন্ড্রোমে আক্রান্ত হন। এটি অত্যন্ত বিরল এক রোগ, তা বলাই বাহুল্য।

যে প্রধান লক্ষণগুলি দেখা যায়, সেগুলি হল
১) শারীরিক দুর্বলতা
২) মুখমণ্ডলের এক দিক পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে যাওয়া
৩) খাবার খেতে না পারা
৪) মানসিক ভারসাম্যহীনতা
৫) মাঝে মাঝেই চোখ বন্ধ হয়ে আসা
এছাড়া মুখের গোড়ায়, জিভে, ও কানে নানা সমস্যা দেখা যায়।


লক্ষণগুলি গুরুতর হলে হাসপাতালে ভর্তি করানো ছড়া উপায় থাকে না। এছাড়া, ফেসিয়াল নার্ভ প্যারালাইসিসে আক্রান্ত রোগীদের চোখ বন্ধ করতে অসুবিধা হয়। তাই চোখের আর্দ্রতা এবং লুব্রিকেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বমি বমি ভাব এবং মাথা ঘোরার জন্য নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে। স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব, তবে চিকিৎসকদের বক্তব্য, বিষয়টি সময় সাপেক্ষ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *