আজ খবর ডেস্ক: স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য সুষম আহার জরুরি। পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার অর্থ শুধু শরীরে ভিটামিন ও মিনারেলের চাহিদা পূরণ করা তা নয়। পুষ্টিকর খাবার আমাদের শরীরকে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
কিন্তু বর্তমানে আমরা এত বেশি ফাস্ট ফুড (fast food), প্রক্রিয়াজাত খাবার (processed food) খাই, যাতে ক্ষতি হয় শরীরের। কারণ খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে আমরা সচেতন নই। আর এই কারণেই প্রতি বছর ৭ই জুন বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা দিবস পালন করা হয়।
এ বছর বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা দিবসের থিম– নিরাপদ খাদ্য, উন্নত স্বাস্থ্য। বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তা ইস্যুতে সচেতনতা বাড়াতে ২০১৮ সালে প্রথম এ দিবসটি পালন করা হয়। এরপর থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং রাষ্ট্রসঙ্ঘের (United Nations) খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (FAO) যৌথ উদ্যোগে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
এ বছর এই উপলক্ষে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বে প্রতি দশজনের মধ্যে একজন খাদ্যবাহিত রোগে আক্রান্ত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুসারে, আনুমানিক ৪২০০০০ জন প্রতি বছর দূষিত খাবার খেয়ে মারা যায়। নিরাপদ খাদ্য সুস্বাস্থ্যের উৎস; আর দূষিত খাদ্য অজস্র রোগের বাসা। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুরা খাদ্যবাহিত রোগের ৪০ শতাংশ বোঝা বহন করে এবং প্রতি বছর ১২৫০০০ শিশুর মৃত্যু হয়।
খাদ্যজনিত রোগগুলি স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে চাপে ফেলে দেয় এবং জাতীয় অর্থনীতি, পর্যটন এবং বাণিজ্যের ক্ষতি করে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাধা দেয়। ২০১৯ এর বিশ্ব ব্যাঙ্কের (World Bank) রিপোর্ট অনুসারে, প্রতি বছর ৯৫.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, খাদ্যজনিত রোগের চিকিৎসার পেছনে খরচ করে মাঝারি ও নিম্ন অর্থনীতির দেশগুলি।
ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, পরজীবী বা রাসায়নিক পদার্থ দূষিত খাবারের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে ২০০ টিরও বেশি খাদ্যবাহিত রোগ সৃষ্টি করে। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হল, এই রোগগুলি শরীরে ক্যান্সার কোষের বিকাশও করতে পারে।
#WorldFoodSafetyDay
— Ministry of Health (@MoHFW_INDIA) June 7, 2022
➡️ On World Food Safety Day, Dr. @mansukhmandviya released 4th State Food Safety Index.
➡️ Nation and Nutrition are deeply connected, government is dedicated to ensure Health Security for every citizen – Dr. Mansukh Mandaviya.https://t.co/rl5bEXg1ZL pic.twitter.com/xCH8fPRnXP
আজ, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক একটি টুইট করে দিনটি উদযাপনের কথা জানিয়েছে। এই অনুষ্ঠানে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী, ডঃ মনসুখ মান্ডাভিয়া, ৪র্থ রাজ্য খাদ্য নিরাপত্তা সূচক প্রকাশ করেছেন।