আজ খবর ডেস্ক:
প্রথমে প্রসঙ্গ তুলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এবার বিজেপির জাতীয় কর্ম সমিতির বৈঠকে সরব হলেন খোদ অমিত শাহ (Amit Shah)।
হায়দরাবাদে(Hyderabad) হওয়া দু’দিনের জাতীয় কর্মসিমিতির বৈঠকে নেওয়া রাজনৈতিক প্রস্তাবে চমক রাজনৈতিক মহলে।
এই প্রস্তাব পেশ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ‘‘বিজেপি(BJP) খুব তাড়াতাড়ি তেলেঙ্গানা(Telengana) ও পশ্চিমবঙ্গে(West Bengal) ক্ষমতা দখল করবে।’’ সেই সঙ্গে আরও তিন রাজ্য দখলের কথাও বলেন শাহ।
তিনি জানিয়েছেন কেরল, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশায় ক্ষমতা দখলও বিজেপির লক্ষ্য।

সেই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্য শাসনের দিকে ইঙ্গিত করে অমিত শাহের মন্তব্য, “পশ্চিমবঙ্গে পরিবারতন্ত্র চলছে”।
প্রসঙ্গত বঙ্গ বিজেপির তরফে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দিন কয়েক আগেই বলেছিলেন, ২০২৪ লোকসভা ভোটের আগেই তৃণমূল সরকার ক্ষমতা থেকে চলে যাবে।
এই মুহূর্তে হায়দ্রাবাদে বিজেপির জাতীয় কর্মী সমিতির বৈঠকে আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে রয়েছেন শুভেন্দু।


একথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে পশ্চিমবঙ্গে পরিবার তন্ত্রের অভিযোগ মানে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল সাংসদ ও সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেই (Abhishek Banerjee) ইঙ্গিত করা হয়েছে।

রাজনৈতিক প্রস্তাবে অমিত শাহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে চলা পরিবারতন্ত্রের কথা বলেন। তাতে প্রথম আক্রমণ ছিল কংগ্রেসের(Congress) দিকে। তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেস পারিবারিক দল হয়ে গিয়েছে। পরিবারের হাত থেকে ক্ষমতা চলে যাওয়ার ভয়ে সভাপতি নির্বাচনই করছে না।’’


এই প্রসঙ্গেই বলেন, ‘‘তেলেঙ্গানা ও পশ্চিমবঙ্গের পারিবারিক শাসনকে হারাবে বিজেপি।’’ বিজেপির রাজনৈতিক প্রস্তাবে অভিযোগ তোলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন জায়গায় আঞ্চলিকবাদ, পরিবারবাদ এবং তোষণবাদ চলছে।

এই পরিস্থিতির বদল এনে বিজেপি চায় উন্নয়নের রাজনীতি, কাজ করার রাজনীতি। শাহর প্রস্তাব পেশের পরে তাঁর বক্তব্য সাংবাদিক বৈঠকে উল্লেখ করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।


রবিবার অমিতের বক্তব্য শোনার পরে তৃণমূলের রাজ্যসভার

সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন (Derek O’Brien) একটি টুইট(Tweet) করেন।
সেখানে রীতিমত বিজেপি নেতাদের ছবি দিয়ে পাশে তাঁদের রাজনৈতিক উত্তরসূরীদের তীর চিহ্ন দিয়ে চিহ্নিত করেন ডেরেক।
ওপরে বড় বড় করে লেখা, “দেখুন কারা পরিবার তন্ত্রের রাজনীতির কথা বলছেন!”

দেশ জুড়ে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন। পশ্চিমবঙ্গে আবার বিধানসভা নির্বাচন ২০২৬ এ। এই মুহূর্তে সংখ্যার নিরিখে রাজ্য বিধানসভায় প্রধান বিরোধীদল বিজেপি। তবে হয়ে যাওয়া পুরো ভোট অথবা রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে উপনির্বাচনের ফলাফল গেরুয়া শিবিরের জন্য মোটেই আশা ব্যঞ্জক নয়।


এমনকি সম্প্রতি হয়ে যাওয়া জিটিএ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করে নি বিজেপি। আর শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ভোটে ও শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে বেশ খানিকটা পিছিয়ে রয়েছে বিজেপি। এই পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি নেতৃত্ব বারবার যে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার না থাকার কথা বলছেন, তা কিসের ভিত্তিতে? প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *