আজ খবর ডেস্ক: ক্যান্সার!চিকিৎসা বিজ্ঞানের এই আধুনিক সময়ে দাঁড়িয়েও যে রোগের নাম জীবনকে থমকে দেয়। ক্যানসারের প্রাথমিক পর্যায় হোক বা পরবর্তী ধাপ, রোগী ও চিকিৎসক উভয়ের কাছেই যেন এক মস্ত চ্যালেঞ্জ।
সমীক্ষা বলছে, এই মুহূর্তে পৃথিবী জুড়ে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ। তথ্য আরও বলছে, প্রতি ৬ জনের মধ্যে ১জনের মৃত্যুর জন্য দায়ী এই রোগ।

ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (IIT, Madras) গবেষকরা ক্যান্সার সৃষ্টিকারী জিনগুলি কারোর শরীরে উপস্থিত আছে কী না তা বোঝার জন্য একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence) সমর্থিত যন্ত্র (Tool) তৈরি করেছেন।

“PIVOT” নামে পরিচিত এই যন্ত্রটি প্রফেসর রঘুনাথন রেঙ্গাস্বামী, ডিন (গ্লোবাল এনগেজমেন্ট) এবং কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. কার্তিক রমনের নেতৃত্বে একদল গবেষক তৈরি করেছেন।
সহযোগী অধ্যাপক ভূপত এবং জ্যোতি মেহতা, স্কুল অফ বায়োসায়েন্সেস এবং রবার্ট বশ সেন্টার ফর ডেটা সায়েন্স অ্যান্ড আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (RBCDSAI) এর তরফে এক সদস্য এবং মিসেস মালভিকা সুধাকর, একজন রিসার্চ স্কলার এই গোটা গবেষণা প্রক্রিয়াটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। প্রতিষ্ঠানের তরফে একটি অফিসিয়াল বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

PIVOT কী ভাবে কাজ করে? ব্রেস্ট ইনভেসিভ কার্সিনোমা (Breast Invasive Carsinoma), কোলন অ্যাডেনোকার্সিনোমা (Colon Adenocarcinoma) এবং ফুসফুসের অ্যাডেনোকার্সিনোমা (Lungs Adenocarcinoma) এই তিনটি ভিন্ন ধরণের ক্যান্সারের জন্য এআই (AI) পূর্বাভাস মডেল তৈরি করা হয়েছে।


গবেষকরা দাবি করেছেন, ক্যান্সারযুক্ত জিনের পূর্বাভাসের নেপথ্যে থাকা প্রক্রিয়াটি একটি মডেলের ওপর ভিত্তি করে কাজ করে। যা মূলত মিউটেশন, জিনের অভিব্যক্তি এবং জৈবিক ক্ষেত্রে জিনের সংখ্যার বৈচিত্র এবং বিভ্রান্তির তথ্য ব্যবহার করে।

যন্ত্রটি একটি মেশিন লার্নিং মডেলের উপর ভিত্তি করে বানানো হয়েছে, যা জিনকে (Gene) টিউমার দমনকারী জিন, অনকোজিন (Onco Gene) বা নিরপেক্ষ জিন হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করে। ইনস্টিটিউটের একটি অফিসিয়াল বিবৃতিতে বলা হয়েছে এই টুলটি, শরীরে থাকা অনকোজিন এবং টিউমার-দমনকারী জিন (TP53, এবং PIK3CA) নতুন ক্যান্সার-সম্পর্কিত জিন (PRKCA, SOX9 এবং PSMD4) উভয়েরই সফলভাবে ভবিষ্যদ্বাণী করতে সক্ষম।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *