আজ খবর ডেস্ক:
২০২১ সালে ছত্রধর মাহাতোকে (Chhatradhar Mahato) গ্রেপ্তার করেছিল এনআইএ (NIA)। তাঁর বিরুদ্ধে দুটি মামলা রয়েছে। রাজধানী এক্সপ্রেসে ‘অপহরণ’ ও প্রবীর মাহাতো খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ছত্রধর মাহাতো।


শুক্রবার এনআইএ কোর্টে হাজিরা দিতে রিস্ক বন্ডে সই করে অসুস্থ ছত্রধরকে মেদিনীপুর হাসপাতাল থেকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) তাঁর হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। জানা গেছে, শারীরিকভাবে অসুস্থ হলেও নির্দিষ্ট সময়েই আদালতে পৌঁছন তিনি।

প্রসঙ্গত, গত ৬ই জুলাই ছত্রধর মাহাতোর দুই ছেলের বিয়ে ছিল। সেই জন্য এনআইএ আদালত থেকে “প্যারোলে” লালগড়ের আমলিয়া গ্রামে নিজের বাড়িতে যান ছত্রধর মাহাতো।
বুধবার ছিল তাঁর ছেলেদের বৌভাতের অনুষ্ঠান। কয়েকদিন বাড়িতে থেকে বিয়ের কাজ শেষ করেন তিনি। কিন্তু বৃহস্পতিবার বিকেলে হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করায় তাঁকে ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে পরিস্থিতি বিবেচনা করে ছত্রধর মাহাতোকে রাত ১১টা নাগাদ মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিল।

মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে সারারাত কাটানোর পর তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ছত্রধর মাহাতো কে কলকাতায় নিয়ে আসার তোড়জোড় শুরু হয়। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন পরিবারের সদস্যরা। ছত্রধর ও তাঁর স্ত্রীর গাড়ির সামনে ছিল পুলিসের কনভয়।
এই প্রসঙ্গে ছত্রধর মাহাতো’র স্ত্রী নিয়তি মাহাতো সংবাদ মাধ্যমে জানান,” চিকিৎসকরা যা বলার বলেছেন। তবে রিস্ক বন্ডে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। জেল থেকে বাড়িতে ফিরেই কিছুটা অসুস্থ দেখাচ্ছিল ৷ তারপর বাড়িতে বিয়ের কাজকর্মে আরও খানিকটা অসুস্থ হয়ে যান ৷ সকালে লালগড় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দেখানোর পরে কিছুটা স্বস্তি হলেও, বিকেলের পরে ফের বুকে ব্যথা ওঠে। অসুস্থ হয়ে পড়েন ৷ তারপরই ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷”

কলকাতায় এনআইএ-এর আদালতে হাজিরা দেওয়ার পর অনুমতি পেলে এসএসকেএম বা অন্য হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাবেন বলে জানান নিয়তি মাহাত।

এদিন আদালতে তাঁর আইনজীবী সওয়াল করেন, বিচারক যেন ছত্রধর মাহাতোর পূর্ণ জামিন মঞ্জুর করেন । তাঁর বক্তব্য, যেহেতু প্যারোলে থাকার সময় তাঁর মক্কেল আদালতের নির্দেশ অমান্য করেননি এবং অসুস্থ অবস্থাতেও নির্দিষ্ট সময়ে আদালতে হাজিরা দিয়েছেন,তাহলে তাঁকে পূর্ণ জামিন দিতে অসুবিধা কোথায়? যদিও আদালত সূত্রে খবর, এনআইএ এই আবেদনের বিরোধিতা করবে।


এদিকে ছত্রধরের স্ত্রী নিয়তি মাহাতো বলেন, “কলকাতায় এনআইএ-এর আদালতে হাজিরা দেওয়ার পর অনুমতি পেলে এসএসকেএম বা অন্য হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ছত্রধর কে নিয়ে যেতে চান তাঁরা।

আপডেট: জামিন পেলেন না ছত্রধর। আদালতের নির্দেশে জেলেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা হবে তাঁর।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *