আজ খবর ডেস্ক:
আলফানসো (Alphanso) আমের নাম নিশ্চয় শুনেছেন। বেশ দামি এই আমকেও পাল্লা দিতে বাজারে হাজির হয়েছে আর একটি আম। নাম তারা মিয়াজাকি (Miyazaki)।
জাপানের এই আম দেখতে যেমন সুন্দর, এর দামও তেমন।
জাপানে এর ভাল ফলন হলেও, ভারতে মিয়াজাকি আম পাওয়া বেশ দুর্লভ ব্যাপার। তবে মধ্যপ্রদেশের এক ব্যক্তি এই মিয়াজাকি আমের চাষ করেছেন। আর তা পাহারা দেওয়ার জন্য যে বন্দোবস্ত করেছেন, সেটাই এখন খবর। ছয়টি কুকুর এবং তিনজন নিরাপত্তারক্ষীর কড়া নজর রয়েছে মিয়াজাকি আমের উপরে।
জানা গেছে, সংকল্প পরিহার নামক জবলপুরের (Jabalpur) এই চাষি মিয়াজাকি আম ফলিয়েছেন। শুধু শুধু কিন্তু এই জাপানি আমকে বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম বলা হয়নি। আন্তর্জাতিক বাজারে, এক কেজি মিয়াজাকি আমের দাম ২.৭ লক্ষ টাকা। দুটো গাছে এই দুর্মূল্য আম ফলিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের ওই কৃষক। তিনি বলেন যে, এই আম দামী হওয়ায় শুধুমাত্র আর্থিকভাবে সক্ষম ব্যক্তিরাই এটি কিনে থাকেন। এটি দেশে প্রতি কেজি ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হয়েছে।
সূত্রের খবর, পারিহার একবার ট্রেন যাত্রার সময় এক ব্যক্তির কাছ থেকে মিয়াজাকির চারা পেয়েছিলেন। সংকল্প ও তাঁর স্ত্রী রানীর কোন ধারণা ছিল না যে গাছটিতে রুবি রঙের জাপানি আম ফলবে।
The unusual ruby-coloured Japanese breed of mango, Miyazaki is said to be world's costliest mango, sold at Rs 2.7 lakh per kg. Parihar a farmer in Jabalpur, Madhya Pradesh has hired three security guards and 6 dogs to secure the two trees. pic.twitter.com/DxVWfjMT8F
— Harsh Goenka (@hvgoenka) July 3, 2022
এই বিষয়ে ট্যুইট করেছেন শিল্পপতি হর্ষ গোয়েঙ্কা। “অদ্ভুত রুবি রঙের জাপানি আম মিয়াজাকিকে বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম বলা হয়। এর প্রতি কেজির দাম ২.৭ লাখ। মধ্যপ্রদেশের জবলপুরের একজন কৃষক পারিহার, দু’টি গাছের নিরাপত্তার জন্য তিনজন নিরাপত্তা রক্ষী এবং ৬ টি কুকুর নিয়োগ করেছেন,” ট্যুইটে লেখেন আরপিজি গ্রুপের চেয়ারম্যান হর্ষ গোয়েঙ্কা।
জাপানের শহর মিয়াজাকিতে জন্মায় বলেই এই আমের এমন নাম। গড়ে একটি আমের ওজন প্রায় ৩৫০ গ্রাম। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিটা-ক্যারোটিন এবং ফলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ আমের সর্বচ্চ ফলন হয় এপ্রিল থেকে অগাস্টে।
মিয়াজাকিতে ৭০-এর দশকের শেষের দিকে এবং ৮০-র দশকের গোড়াতে এই আমের উৎপাদন শুরু হয়েছিল। মিয়াজাকি শহরের উষ্ণ আবহাওয়া, দীর্ঘক্ষণ সূর্যের আলো এবং প্রচুর বৃষ্টিপাত এই আমের চাষকে সম্ভবপর করেছে।