আজ খবর ডেস্ক:
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারে ক্রমেই চিকিৎসার খরচও বাড়ছে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, বেশি দামে ফার্মাসি থেকে ওষুধ বিক্রি হচ্ছে। এবার এই বেশি দামে ওষুধ বিক্রি রুখতে আসরে নামল ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণকারী কেন্দ্রীয় সংস্থা National Pharmaceutical Pricing Authority।
৮৪ টি ওষুধের দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছে এই সংস্থার তরফে। ফলে এরপর থেকে আর বেশি দামে ওষুধ বিক্রি করতে পারবে না ফার্মাসিগুলি। এই নির্দেশ গত ৩০শে জুন থেকে প্রযোজ্য হবে, যদিও ক্রেতারা এর সুফল সম্ভবত, চলতি মাসের শেষের আগে পাবে না।
এনপিপিএ যে অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের দাম পরিবর্তন করেছে তার মধ্যে রয়েছে ডায়াবেটিস, মাথাব্যথা, উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ। এই পরিবর্তনের ফলে কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমাতে ব্যবহৃত ওষুধের দামও কমে আসবে। এনপিপিএ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, একটি প্যারাসিটামল-ক্যাফিন ট্যাবলেটের দাম ২.৮৮ টাকা, রোসুভাস্টানিন অ্যাসপিরিন এবং ক্লোপিডোগ্রেল ক্যাপসুলের দাম ১৩.৯১ টাকা এবং ভোগলিবোস এবং (এসআর) মেটফর্মিন হাইড্রোক্লোরাইড ট্যাবলেটের দাম ১০.৪৭ টাকা।
এছাড়াও অন্যান্য নির্ধারিত ওষুধের কথা বললে, অ্যাটোর্ভাস্ট্যাটিন এবং ফেনোফাইব্রেট ট্যাবলেটগুলি এখন ১৩.৮৭ টাকায় পাওয়া যাবে৷ এই ওষুধটি হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও, ভোগলিবোস এবং মেটফর্মিন হাইড্রোক্লোরাইডের একটি ট্যাবলেটের দাম জিএসটি ব্যতীত ১০.৪৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
National Pharmaceutical Pricing Authority-র তরফে বলা হয়েছে, ফার্মা কোম্পানিগুলিকে নির্ধারিত দাম কঠোর ভাবে মেনে চলতে হবে। কোনও বিক্রেতা এই দামের থেকে বেশিতে ওষুধ বিক্রি করলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সংস্থা। ওষুধের দাম পরিবর্তনের পর GST আলাদা থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এনপিপিএ দেশে ওষুধ এবং ফর্মুলেশনের দাম, দামের নিয়ন্ত্রণ ও ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার কাজ করে। দাম পরিবর্তনের পরে জিএসটি আলাদা থাকবে, তবে ওষুধ প্রস্তুতকারীরা শুধুমাত্র তখনই জিএসটি ফেরত পাবে, যদি তারা নিজেরাই সরকারকে খুচরো মূল্যের উপর জিএসটি প্রদান করে থাকে। কোনো বিক্রেতাকে এসব ওষুধ বেশি দামে বিক্রি করতে দেখা গেলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।