আজ খবর ডেস্ক: শনিবার রাতভর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বাড়িতেই লুকিয়ে ছিলেন এক ব্যক্তি। রবিবার সকালে নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে দেখতে পান, মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ির নিচে শুয়ে থাকতে।
তৎক্ষণাৎ শুরু হয়ে যায় তুমুল কলরব।
পৌঁছয় বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড, স্নিফার ডগ। চলে আসেন কলকাতার কমিশনার (CP) বিনীত গোয়েল।
ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে কালীঘাট থানার পুলিশ। পরে ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে লালবাজারের গোয়েন্দা দপ্তর। বড়সড় প্রশ্ন ওঠে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় গাফিলতি নিয়ে।
কেন ওই ব্যক্তি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি চত্বরে ঢুকেছিলেন? কী উদ্দেশ্য ছিল? সেই সমস্ত বিষয় তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
সোমবার ওই ব্যক্তিকে আলিপুর (Alipore) আদালতে তোলা হয়।
জানা গেছে , ওই ব্যক্তির নাম হাফিজুল মোল্লা। তাঁর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগণার হাসনাবাদের নারায়নপুরে। বয়স ৩১।
লালবাজার সূত্রে জানা গেছে, সন্দেহজনক উদ্দেশ্য নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির চত্বরে ঢুকেছিলেন ওই ব্যক্তি। যদিও ওই যুবক নিজের মুখে এখনও স্বীকার করেন নি, কী কারনে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে তিনি ঢুকে পড়েছিলেন। এদিন আদালতে সরকার পক্ষের আইনজীবী বিচারকের কাছে বলেন, এই ব্যক্তি কেন এহেনও কাজ করলেন? এর পেছনে অন্য কোনও ষড়যন্ত্রমূলক পরিকল্পনা রয়েছে কিনা? ইনি আসলে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির এলাকা বিশেষ কোনও উদ্দেশ্য নিয়ে সরেজমিনে দেখতে এসেছিলেন কিনা? এইসব বিষয়ের খোলসা হওয়া দরকার। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এই ব্যক্তির পুলিশ হেফাজত দাবি করেন সরকারি আইনজীবী।
পাশাপাশি আরও বাড়ানো হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির চারপাশের নিরাপত্তা বেষ্টনী।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্বে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তদন্তের দাবি জানিয়েছে সিপিএম (CPIM) নেতা সুজন চক্রবর্তী।
এর আগে ২০২১-এর ১৬ ফেব্রুয়ারি, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির পাশে আদিগঙ্গায় নেমে প্রতিবাদ জানান অনুমোদনহীন মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষামিত্ররা। এই ঘটনার পরে আলিপুর সংশোধনাগারের পাশ দিয়ে যাতে কোনওভাবে আদি গঙ্গার দিকে না যাওয়া যায়, সেজন্য গার্ডরেল দিয়ে রাস্তা আটকে দিয়েছিল পুলিশ। বসানো হয়েছিল অতিরিক্ত ৫টি পুলিশ পিকেট।
লালবাজারে বড় কর্তারা জানিয়েছেন, অত্যন্ত সিরিয়াস বিষয় মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা। শনিবার সন্ধের পর থেকে যাঁরা নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের ডেকে আলাদা করে প্রশ্ন করা হচ্ছে।