আজ খবর ডেস্ক: করোনা’র কারণে ২০ আর ২১এ কর্মসূচি হয়নি।
এবছর তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের মধ্যে প্রবল আগ্রহ ছিল, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) কী কী বলবেন শহীদ দিবসের মঞ্চ থেকে?


এদিনের সমাবেশের মূল বক্তা ছিলেন দুজন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রত্যাশা ছিল, ২০২৪ লোকসভার নির্বাচনের দিকে তাকিয়েই বার্তা দেবেন তৃণমূল সুপ্রিম।


কী বললেন মমতা, দেখে নিন এক ঝলকে;

মমতার ভাষণে ঘুরেফিরে উঠে এসেছে আগামী লোকসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গ। তিনি বলেন,

  • চব্বিশে বিজেপির কারাগার ভাঙো, মানুষের সরকার আনো।
  • প্রত্যেকটা আসন জিততে হবে। শুধু এখানে নয়। ত্রিপুরা, মেঘালয়, আসাম, গোয়া—সর্বত্র। আমাদের বন্ধুরাও লড়বে, আমরাও লড়ব।
    এদিনের মঞ্চ থেকেই উঠে এলো তৃণমূলের নতুন স্লোগান…
    “জয় বাংলা দিচ্ছে ডাক, জয় ভারত বেঁচে থাক।”

এবার তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্যের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো দেখে নিন।

  • এত বৃষ্টি, ঝড়জলে আজকে একজনকেও সরাতে পারেনি। মানুষের বৃষ্টি বিজেপিকে ভাসিয়ে নিয়ে চলে যাবে।
  • আমাদের লড়াইয়ের ক্ষমতা আছে, ওদের নেই। আময়াদের মেরুদণ্ড সোজা, ওদের বাঁকা। ওদের মেরুদণ্ডে একদিকে ইডি (ED) আর একদিকে সিবিআই (CBI)।
  • তৃণমূল থাকলে রেশন, স্বাস্থ্যসাথী, সবুজসাথী, ভাতা, ট্যাব, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাবেন।
  • আমি পুরসভা, পঞ্চায়েতকে বলব, মানুষের সঙ্গে থেকে কাজ করতে হবে।
  • আমরা যখন রাজনীতি করতাম, কাউকে হাসপাতালে ভর্তি করলে জুতোর সোল ক্ষয়ে যেত। আর এখন পাঁচ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্যসাথী।
  • দেশে ৪৫ শতাংশ বেকারি বেড়েছে, বাংলায় ৪০ শতাংশ বেকারি কমেছে।
  • কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্ট বলছে বাংলার কৃষকদের আয় দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
  • কারও ঘর ভাঙব না কিন্তু শিল্প হবে। দেউচা হচ্ছে। এক লক্ষ ছেলেমেয়ের চাকরি হবে।
  • সিলিকন ভ্যালি হচ্ছে। বাঁকুড়া, পুরুলিয়ায় ফ্রেট করিডোরে ৭২ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হচ্ছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে দেড় কোটি ছেলেমেয়ে কাজ করছে।
  • এখানে চাকরি হচ্ছে। আর বিজেপি চাকরি খাচ্ছে। কুটুস কুটুস করে খাচ্ছে।
  • সব গদ্দারদের পরিবারের লোকজন চাকরি করবে? কাজ করলে ভুল হয়।
  • সিপিএমের (CPIM) আমলে কী হয়েছিল? ওদের দলের কাগজের সব রিপোর্টারের বউরা কী ভাবে টিচারি পেল? সবাই যোগ্যতায় পেয়েছিল? আমি নাম বলতে চাইছি না।
  • সিপিএমের বিকাশবাবু খালি চাকরি কাড়তে মামলা করছেন। আপনাদের সময়ের ফাইলগুলো বের করব? কারা বার্থ সার্টিফিকেট পেয়েছিল? বলেছিলাম বদলা নয় বদল চাই। তাই কিছু করিনি।
  • মুড়িতেও জিএসটি (GST)? বিজেপির বন্ধুরা মুড়ি খাবেন না? মিষ্টি, চিড়ে, দই, লস্যিতেও জিএসটি? নকুলদানায় কত জিএসটি, বাতাসায় কত জিএসটি, নিমপাতায় জিএসটি? আমাদের মুড়ি ফিরিয়ে দাও, নইলে বিজেপি বিদায় নাও।
  • হাসপাতালে বেড ভাড়াতেও জিএসটি? মরে গেলে কটা জিএসটি? মৃতদেহের খাট কিনতে কত জিএসটি।
  • গ্যাসের দাম কত? কেরোসিনের দাম কত? খাব কী? মানুষ খাবে কী?
  • এ য়ার ইন্ডিয়া (Air India) বন্ধ, কোল ইন্ডিয়া (Coal India) বন্ধ, লক্ষ লক্ষ কর্মী ছাঁটাই। আর লোক নেওয়ার পথ কী? অগ্নিপথ। আমি বলি ও পথে হেঁটো না বাপু।
  • আর্মির কোনও বিকল্প হয় না। আর্মিকে বঞ্চনা কোরো না।
  • যাঁদের নেবেন তাঁরা কী করবে? সশস্ত্র কিছু সেনা তৈরি করবে? তারপর আপনাদের ক্যাডার হবে?
  • বুঝতেই পারছেন কী সরকার চলছে। দরিদ্র মানুষের সব হরণ করে নিচ্ছে।
  • মহারাষ্ট্রে সরকার ভেঙেছে। এবার বলছে ছত্তীসগড় ভাঙবে। তারপর বলছে বাংলা ভাঙবে। আমরা বলছি, বাংলার কথা ভুলেও ভেব না। এখানে রয়্যালবেঙ্গল টাইগার থাকে। খুব সাবধান।
  • ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। আবাস যোজনা, সড়ক যোজনার টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। বলছে নাম বদল করতে হবে। কেন? বাংলার নাম থাকলে আপত্তি কোথায়?
  • বাংলার মানুষ ভয়ের কাছে মাথা নত করে না।
  • আমাদের ইডি-র ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। আমরা সাহসের সঙ্গে লড়ি, সেই লড়াই জারি থাকবে।
  • আমি চাই আমাদের নেতারা সাইকেল নিয়ে ঘুরুন, সাংসদরা রিক্সা করে ঘুরুন, চায়ের দোকানে বসুন।
  • আমার কাছে দুটো ঘটনা এসেছে। একুশে জুলাইয়ের নামে চাঁদা তোলা হয়েছে। মনে রাখবেন দলের নামে চাঁদা তোলা যাবে না।
  • এখানে দেখছি সব তরুণ প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা এসেছে। আপনারা লড়বেন তো? আমার সঙ্গে সারা বাংলা ঘুরবেন? দিল্লি গিয়ে লড়বেন বিজেপির সঙ্গে? ইডি, সিবিআই, ইনকাম ট্যাক্সকে ভয় পাবেন না তো?
  • ইডি, সিবিআই এলে বলবেন আসুন, আসুন। আসন পেতে বসতে দেবেন। পাশে একটা গ্যাসের সিলিন্ডার রেখে দেবেন। মুড়ি খেতে দেবেন।
  • আমি মনে করি তৃণমূল কংগ্রেস জনগণের পাহারাদার। কেউ যদি তৃণমূলের নামে টাকা তোলে তাহলে তাকে ধরে থানায় ভরে দিন।
  • কখনও অহঙ্কার করবেন না। ওরা অহঙ্কার করুক।আমরা হব মানবিক। বিত্তবান বড় নয়, বিবেকবান বড়।

বস্তুত এদিন তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্যের সিংহভাগ জুড়ে ছিল আগামী লোকসভা ভোটের কথা। তিনি বারবার দিল্লি গিয়ে আন্দোলনের কথা বলেছেন।
এমনকি বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না বলেও পূর্বাভাস মমতার।
তবে একাধিক জল্পনা থাকলেও এদিনের মঞ্চ থেকে কাউকেই দলে যোগদান করানো হয়নি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *