আজ খবর ডেস্ক:
তিনি বিতর্কিত। একই সঙ্গে তিনি বিশ্ববন্দিত। কথা হচ্ছে ফুটবল নক্ষত্র দিয়েগো মারাদোনার (Diego Maradona)।
গোটা লাতিন আমেরিকা জুড়ে বলা হয়, পায়ের জাদুতে বিশ্ব মানচিত্রে জায়গা করে দিয়েছেন মারাদোনা।
বস্তুত বিশ্বজুড়েদিয়েগো মারাদোনা অসংখ্য অনুরাগী। আর তাঁরা মনে করেন, তিনি শুধু একজন ফুটবলার ছিলেন না, তিনি ছিলেন ফুটবলের রাজপুত্র।
কেউ আবার বলে তিনি ছিলেন ফুটবলের “ঈশ্বর”।
১৯৮৬ ফুটবল বিশ্বকাপে মারাদোনার সেই বিতর্কিত “হ্যান্ডবল” বহু মানুষের কাছে এখনও “ঈশ্বরের হাত” (Hand Of God)।


প্রায় দেড়বছর হয়ে গেল তিনি নেই। মৃত্যুর পর পৃথিবী জুড়ে নানাভাবে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে মারাদোনা কে।

কখনও মূর্তি বানিয়ে, কখনও একটি গোটা বিমানকে মিউজিয়াম বানিয়ে, কখনও আবার স্টেডিয়ামের নাম বদল করে মারাদোনার প্রতি সম্মান জানানো হয়েছে। তবে এবার আর্জেন্টিনার (Argentina) এই কিংবদন্তি ফুটবলার কে অভিনব উপায়ে সম্মান জানানো হবে।
মহাকাশে মহাকাশে পাঠানো হচ্ছে মারাদোনার ব্যবহৃত বুট (Boot)। সঙ্গে তাঁর ভক্তদের জন্য সুযোগ থাকছে, প্রিয় ফুটবলার কে মনের কথা জানানোর। এই গোটা পদ্ধতিটি ঠিক কী ভাবে হবে দেখে নেওয়া যাক।

আর্জেন্টিনারই একটি বেসরকারি সংস্থা Tango D10S বিমান বানিয়েছে। প্রতিষ্ঠানের কর্তারা শনিবার দিয়েগো ম্যারাদোনার ভক্তদের জন্য এই বিমানের দরজা খুলে দিয়েছেন। বুয়েনস আইরেসের উপকণ্ঠে মরন বিমানবন্দরে আগামী ২১শে আগস্ট পর্যন্ত খোলা থাকবে এই বিশেষ বিমান।
মূল উদ্দেশ্য, দর্শকরা ম্যারাদোনাকে একটি বার্তা পাঠাতে পারেন। যা একটি স্যাটেলাইটে সংরক্ষণ করে মহাকাশে পাঠানো হবে।
সেই সঙ্গে মারাদোনা ভক্তদের জন্য থাকছে অভাবনীয় চমক। তিনি বেঁচে নেই, তবু তাঁর সঙ্গে কথা বলতে পারবেন ভক্তরা। কেমন করে?
ভক্তরা ম্যারাদোনার একটি এআই (Artificial Intelligence) হোলোগ্রামের মাধ্যমে কথা বলতে পারবেন এমনকি, প্রশ্ন ও করতে পারবেন তাঁদের সর্বকালের প্রিয় ফুটবলারকে।

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রের জানা গিয়েছে, Tango D10S প্লেনটি বিশ্ব সফরে রওনা হবে। ইউরোপে আসার আগে সাও পাওলো, কলম্বিয়া, মেক্সিকো এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঘুরবে। রোম এবং নেপলসে থামবে। ২০২২ নভেম্বরে কাতার বিশ্বকাপে ও অবতরণ করবে বিমানটি।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, বিমানটি দিয়েগোর কাছে ওই সব জায়গা থেকে মহাকাশে বার্তা পাঠাবে।

স্পেস সার্পেন্ট স্যাটেলাইট

মারাদোনার ব্যবহৃত বুট পাঠানো হবে মহাকাশে।
ফুটবলারের ব্যবহৃত একটি পোশাকও স্পেস সার্পেন্ট স্যাটেলাইটের মাধ্যমে মহাকাশে পাঠানো হবে, বিশ্বজুড়ে ভক্তদের অডিও এবং ভিডিও বার্তা সহ।
তবে এই স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণের তারিখ ও স্থান এখনও নিশ্চিত হয়নি।
প্রসঙ্গত চলতি বছরের মে মাসে, মারাদোনার একটি টি-শার্ট Sotheby’s এ ৯.২৮মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়েছিল। এই জার্সি পরে তিনি ১৯৮৬ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই গোলটি করেছিলেন, যাকে বলা হয়েছিল “হ্যান্ড অফ গড”।

আর্জেন্টিনা জাতীয় দল ছাড়াও মারাদোনা বার্সেলোনা, নাপোলি এবং নেওয়েলস ওল্ড বয়েজের হয়ে খেলার জন্য পরিচিত। ২০২০সালের নভেম্বরে ৬০ বছর বয়সে তীব্র হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
মারাদোনার জন্য তৈরি এই কৃত্রিম উপগ্রহের নাম দেওয়া হয়েছে ‘কসমিক কাইট’। ফুটবল ঈশ্বরকে প্রথমবার ওই নামে ডেকেছিলেন উরুগুয়ের এক সাংবাদিক। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শতাব্দীর সেরা গোলের পর সেই নাম সর্বত্র ডাকা শুরু হয়ে যায়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *