আজ খবর ডেস্ক:
এসএসকেএম (SSKM) সূত্রে খবর, শনিবার রাতে বাইপ্যাপের (Bipap) সাহায্যে ঘুমিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। মাঝে দুবার ঘুম ভেঙ্গে উঠে চিকিৎসকদের কাছে শ্বাসকষ্টের অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি।
এদিকে পার্থকে হাসপাতালে ভর্তির নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আপিল করেছে ইডি (ED)।
ইডি সূত্রে জানা গেছে, অর্পিতার বয়ানের ভিত্তিতেই কার্যত গ্রেপ্তার করা হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।
শনিবার সকালে গ্রেপ্তারির পরে অর্পিতাকেও নিয়ে যাওয়া হয় জোকার ইএসআই (ESI, Joka) হাসপাতালে। সেখানেই টানা তিন ঘণ্টা চলে অর্পিতার স্বাস্থ্য পরীক্ষা। সেখান থেকেই তাঁকে নিয়ে ইডির কনভয় যায় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে অর্থাৎ ইডি-র দপ্তরে।
ইডি সূত্রের খবর, শনিবার রাতভর অর্পিতাকে জেরা করেছেন অফিসাররা। আজ, রবিবার আদালতে তোলা হবে তাঁকে।
তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) মহাসচিবকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর ইসিজি (ECG) সহ বেশ কিছু পরীক্ষা করা হয়েছিল। হাসপাতালের তরফে এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই মুহূর্তে স্থিতিশীল। ডাক্তারদের একটি দল তাঁর অবস্থার ওপর নিবিড় নজর রাখছে। কার্ডিওলজিস্ট ডাঃ সরোজ মন্ডল চিকিৎসক দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।”
আপাতত একটি কেবিনে শিফট করা হয়েছে পার্থকে। তাঁর কেবিনের বাইরে নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার সময় পার্থ অসুস্থ বোধ করেন। মাঝপথে গাড়ি ঘুরিয়ে জোকা ইএসআই হাসপাতালে পার্থকে নিয়ে যান ইডির আধিকারিকরা, কারণ আদালতের নির্দেশ ছিল, এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া যাবে না মন্ত্রীকে।
ইএসআই হাসপাতালে পার্থর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তেমন অসঙ্গতি মেলেনি, তাই পেশ করা হয় ব্যাঙ্কশাল আদালতে। তবে শেষমেশ রাতে এসএসকেএম হাতপাতালেই ভর্তি হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
শনিবার সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম-এ।
কার্ডিওলজি বিভাগের এমার্জেন্সি-তে নিয়ে যাওয়া হয়। পরীক্ষার পরে তাঁকে ভর্তি করানো দরকার বলে জানান চিকিৎসকরা।
এসএসকেএম এর চিকিৎসকদের মতে, পার্থ’র
হার্ট, কিডনি, উচ্চ রক্তচাপ ও সুগারের সমস্যা রয়েছে। পার্থর দুই পা বেশ ফোলা বলে মদ চিকিৎসকদের।
তাঁকে পরীক্ষা করে দেখেন নেফ্রোলজি, কার্ডিয়োলজি, এন্ডোক্রিনোলজির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। চিকিৎসকদের ছ’জনের একটি দলও তৈরি করা হয়েছে।
শনিবার আদালতে শুনানি চলাকালীন পার্থ’র আইনজীবী তাঁর শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে পার্থকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তির আবেদন করেন। ইডির আইনজীবী তখন পাল্টা আলিপুর কমান্ড হাসপাতাল বা জোকা ইএসআই হাসপাতালে পার্থকে নিয়ে যাওয়ার আবেদন করলেও বিচারক শেষ পর্যন্ত এসএসকেএম হাসপাতালেই পার্থকে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও (Arrpieta) গ্রেপ্তার করেছে ইডি। তাঁর বাড়ি থেকে মিলেছে ২১ কোটি ২০ লক্ষ নগদ টাকা ও ৭৯ লক্ষ টাকার গয়না। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে অর্পিতা জানিয়েছেন, ওই টাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই তাঁকে রাখতে দিয়েছিলেন। এমনটাই দাবি করছে ইডি।
এমনকি ইডি’র দাবি, অর্পিতা নিজেই নাকি জানিয়েছেন, তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া ২১ কোটি টাকা এসেছে নবম থেকে দ্বাদশ ও প্রাইমারি শিক্ষকের চাকরি বিক্রি করে।
শুধু তাই নয়, ইডির আরও দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিয়মিত অর্পিতার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন।