আজ খবর ডেস্ক:
দস্যি মেয়ে মিঠু কে চেনেন? কলকাতার ক্রিকেট মাঠ কাঁপিয়ে গেলেন মিঠু। অথচ চিনতেই পারলেন না অধিকাংশ শহরবাসী!
শনিবার ইডেনে(Eden Gardens) মিঠু এলেন, সময় কাটালেন।
এবার তাহলে খুলেই বলা যাক।
মিঠু আসলে মিঠু নয়, তাপসী। মানে অভিনেত্রী, বলিউড ডিভা (Bollywood Diva) তাপসী পান্নু(Taapsee Pannu)।
আসলে, ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট আইকন মিতালি রাজের(Mithali Raj) বায়োপিক(Biopic) হল “শাবাশ মিঠু”(Shabaash Mithu)। যেখানে মিতালী’র চরিত্রে অভিনয় করছেন তাপসী পান্নু। ছবির পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় (Srijit Mukherji)।
টিম “শাবাশ মিঠু”ছবিটির প্রচারের জন্য কলকাতায় এসেছিল। আগামী ১৫ই জুলাই বড় পর্দায় মুক্তি পাচ্ছে এই ছবিটি।
ক্রিকেট নিয়ে ফিল্ম, পরিচালক বাঙালি! প্রত্যাশিত যে, শহরের আন্তর্জাতিক ইডেন গার্ডেনে পা রাখবেন তাঁরা। হল ও তাই।
শনিবার বাংলার গর্ব ইডেনে ঘুরে বেড়ালেন তাপসী পান্নু, ক্রিকেটার এবং বায়োপিকের প্রধান চরিত্র মিতালি রাজ এবং ছবির পরিচালক সৃজিত মুখার্জি।
“শাবাশ মিঠু” কিংবদন্তি ক্রিকেটার মিতালি রাজের জীবনের উপর ভিত্তি করে তৈরি একটি স্পোর্টস বায়োপিক। এক মেয়ের ভারতীয় ক্রিকেট দলে প্রবেশ আর তারপরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ব্যাক্তিত্ব হয়ে ওঠার গল্প পর্দায় দেখাবে এই ছবি।
ইডেন থেকেই ফিল্মের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু হল।
অভিনেত্রী তাপসী পান্নু বলেন, “এখান থেকে আমাদের পথচলা শুরু হল। আমি এখানে অনেক ম্যাচ দেখেছি কিন্তু কখনও কল্পনাও করিনি যে আমি এখানে একটি সিনেমার জন্য দাঁড়িয়ে থাকব। এটি একটি ভিন্ন অনুভূতি। ইতিহাস এবং খেলাধুলোর জন্য এই স্থানটির গুরুত্ব অপরিসীম”।”
প্রসঙ্গত, ১৮৬৪ সালে তৈরি হওয়া ইডেন বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়াগুলির মধ্যে অন্যতম। এখানে দর্শক ধারণ ক্ষমতা ৮০ হাজারের বেশি।
ছবি নিয়ে বলতে গিয়ে মিতালি রাজ জানান, “ইডেন ক্রিকেট দুনিয়ার অন্যতম জায়গা এবং এখানে দাঁড়িয়ে আমার ভীষন আনন্দ হচ্ছে। এখানে খেলা একটি সম্মানের বিষয় এবং ‘শাবাশ মিঠু’-এর জন্য আজ এখানে থাকতে পেরে গর্ব অনুভব করছি”।
পরিচালক সৃজিত মুখার্জি বলেন, “আমি মনে করি আমার হোম গ্রাউন্ড থেকে এই ইনিংসটি শুরু করাই উপযুক্ত। এটা হৃদয়ছোঁয়া এবং সম্মানের।”
গ্ল্যামারাস নায়িকা লুক নয়, বরং শরীর চর্চার পাশাপাশি ক্রিকেটের যাবতীয় খুঁটিনাটি টেকনিক শিখতে হয়েছে।
এই বিষয়ে তাপসী বলেন, “অন-স্ক্রিনে মিতালির চরিত্রে অভিনয় করা আমার কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। কারণ আমি ওঁকে ছাড়া একজন ক্রিকেটারের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। আমি ক্রিকেটের বাইরের মানুষ। তবে মিতালিকে খুঁটিয়ে লক্ষ্য করেছি।”
ছবিটি মিতালি রাজের একজন কিংবদন্তি ক্রিকেটার হয়ে ওঠা এবং বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষের অনুপ্রেরণার যাত্রাকে চিত্রিত করে।
তাপসী সম্পর্কে তাঁর প্রথম ধারণার কথা বলতে গিয়ে মিতালি বলেন, “যখন সিনেমাটি ঘোষণা করা হয়েছিল, তখন আমি বেঙ্গালুরুতে তাপসীর সঙ্গে প্রথম দেখা করি। মনে হয়েছিল আমাদের ব্যক্তিত্ব সম্পূর্ণ বিপরীত।”
“ভাগ মিলখা ভাগ”, “চাক দে ইন্ডিয়া” অথবা “দঙ্গল” বক্স অফিসে ঝড় তুলেছিল। “শাবাস মিঠু” কি পারবে সেই রেকর্ড ভাঙতে?