আজ খবর ডেস্ক:
বেহালা পশ্চিম। এতদিন রাজ্যের অন্যতম হাই প্রোফাইল বিধানসভা কেন্দ্র ছিল। কারণ এখানকার বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)।
শুক্রবার বিকেলে সেখানেই লম্বা মিছিল করল বঙ্গ বিজেপি (BJP), নেতৃত্ব ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।


এসএসসি (SSC) দুর্নীতি ইস্যুতে তোলপাড় চলছে রাজ্য জুড়ে। প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রীর বান্ধবীর বাড়ি থেকে কোটি কোটি নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে। সঙ্গে গয়না, বিদেশি মুদ্রা, একাধিক জমি ও সম্পত্তির দলিল।
ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে।

পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে যে কয়েকটি বড় আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ গত কয়েক বছরের মধ্যে সামনে এসেছে, নিঃসন্দেহে তার মধ্যে অন্যতম এই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি। এই নিয়ে আলোচনার মধ্যেই আরেকবার ফিরে এল “সারদা” প্রসঙ্গ।
শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে শুভেন্দু অধিকারীর কথা। বলা হচ্ছে, সারদা কাণ্ডে সরাসরি যুক্ত ছিলেন শুভেন্দু। কিন্তু বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত হচ্ছে না। এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এলাকায় মিছিল করতে যাওয়ার আগে রাজ্য বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে পাল্টা জবাব দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

শুক্রবার বিকেলে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “২০২০ সালের ১লা ডিসেম্বর শ্যামবাজারে এক জনের ফ্ল্যাটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee), প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor) এবং দু’জন বর্ষীয়ান সাংসদ আমার সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন। সেদিন আমার হাত-পা ধরা হয়েছিল, যাতে আমি ওদের সঙ্গ না ছাড়ি।”


শুভেন্দু আরও বলেন, “আমার নাম তো ছিলই। সিপিএম বিরোধী দল বলে বিমান বসুর নাম রেখেছিল, সুজন চক্রবর্তীর নাম রেখেছিল। অধীর রঞ্জন চৌধুরীর নাম রেখেছিল। মুকুল রায় যেহেতু ভিতরে ভিতরে যোগাযোগ রাখতেন, তাই তাঁর নাম রেখেছিল, কিন্তু বলেছিল, তিনি কত টাকা নিয়েছিলেন, তা মনে পড়ছে না।”


শুভেন্দু বলেন, “এই চিঠির পরে ৯ই ডিসেম্বর একটি চিঠি আমি সিবিআই ডিরেক্টরকে লিখেছিলাম। কারণ, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী এই মামলাগুলি সিবিআই এবং আর্থিক দুর্নীতিতে ইডির বাইরে আর কেউ ঢুকতে পারে না। ওই চিঠিতে আমি জানিয়েছিলাম, পীয়ূষ পাণ্ডে নামে এক আইপিএস, যিনি তখন জেল আধিকারিক ছিলেন, তাঁকে দিয়ে এটি করানো হয়েছিল।”

ওই ঘটনা উল্লেখ করে কার্যত বিস্ফোরক বক্তব্য রাখেন শুভেন্দু। জানান, কুণাল ঘোষ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং এক আইনজীবী সারদা কর্তার ওই চিঠি লেখার ঘটনায় যুক্ত ছিলেন।
শুক্রবার বিকেল ৫টা নাগাদ শীলপাড়া মোড় থেকে বিজেপির মিছিল শুরু হয়।
“চোর ধরো জেল ভরো” লেখা বিশাল পোস্টার এবং নানা ধরনের প্ল্যাকার্ড নিয়ে এই মিছিলে বিস্তর বিজেপি সমর্থক ভিড় করেছিলেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *