আজ খবর ডেস্ক:
কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রক সারা দেশের কোম্পানিগুলির জন্য ‘বাড়ি থেকে কাজ’ বা ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’-এর নয়া নিয়ম ঘোষণা করেছে।
দেশ জুড়ে কোম্পানিগুলিতে বাড়ি থেকে কাজ করার (WFH) নিয়মের একটি নতুন সেট ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
এই নির্দেশ অনুযায়ী ওয়ার্ক ফ্রম হোম একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (SEZ) ইউনিটে সর্বোচ্চ এক বছরের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মোট কর্মচারীর সংখ্যা শতাংশের হিসেবে ৫০ পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে।
এই নির্দেশের আওতায় পড়বেন
১) IT/ITeS SEZ ইউনিটের কর্মচারীরা
২) সেই সব কর্মচারী, যারা সাময়িকভাবে অসুস্থ অথবা অক্ষম
৩) কর্মচারী, যাঁরা এই মুহূর্তে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বা দেশের বাইরে আছেন।
৪) কর্মচারী, যাঁদের সরাসরি সাইটে (Site) এসে কাজ করতে হয় না।
নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ইউনিটের চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী সহ মোট কর্মচারীদের সর্বোচ্চ 50 শতাংশ বাড়ি থেকে কাজ করতে পারবেন।
SEZ-এর ডেভেলপমেন্ট কমিশনারকে (DC) এই সংক্রান্ত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যাতে লিখিতভাবে নথিভুক্ত করা যায় এমন যে কোনও প্রকৃত কারণের জন্য বেশি সংখ্যক কর্মচারীর (৫০ শতাংশের বেশি) অনুমোদন তিনি দিতে পারেন।
কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের নয়া এই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, “এসইজেড ইউনিটগুলির অনুমোদিত ক্রিয়াকলাপ সম্পাদনের জন্য WFH এর উদ্দেশ্যে সরঞ্জাম এবং সুরক্ষিত সংযোগ প্রদান করবে কর্তৃপক্ষ। সরঞ্জামগুলি বের করার অনুমতি একজন কর্মচারীকে দেওয়া হবে।
বাড়ি থেকে কাজ করার নিয়মগুলি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলিতে প্রযোজ্য। যেগুলি ভারতের মধ্যে অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় বিভিন্ন অর্থনৈতিক প্রবিধানের একটি সেটের অধীন। সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য এটি করা হয়।
সব মিলিয়ে ভারতে আটটি কার্যকরী এসইজেড রয়েছে এই মুহূর্তে — সান্তা ক্রুজ (মহারাষ্ট্র), কোচিন (কেরল), কান্ডলা এবং সুরাট (গুজরাট), চেন্নাই (তামিলনাড়ু), বিশাখাপত্তনম (অন্ধ্রপ্রদেশ), ফলতা (পশ্চিমবঙ্গ) এবং নয়ডা (উত্তরপ্রদেশ)। এছাড়াও রয়েছে আইটি এসইজেড, যেমন উইপ্রো, টিসিএস গীতাঞ্জলি।
২০০৬-এ ওয়ার্ক ফ্রম হোমের জন্য একটি নতুন নিয়ম ৪৩এ জারি করা হয়েছে এই বিজ্ঞপ্তিতে। কেন্দ্রের জারি করা অফিশিয়াল বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, কর্মচারীদের একাধিক অনুরোধের পরে SEZ-এর জন্য নতুন নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।
Department of Commerce notifies Rules for Work for Home for Special Economic Zones
— PIB India (@PIB_India) July 19, 2022
WFH allowed for a maximum period of one-year; may be extended to maximum 50% of total employees including contractual employees
Details: https://t.co/Yl0IShXUox
সেই সঙ্গে দেশে আবার করোনা গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা আগের থেকে বেড়েছে। এই অবস্থায় যেসব ক্ষেত্রে সরাসরি সাইটে না গিয়েও কাজ করা সম্ভব সেখানে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের ব্যবস্থা করার চেষ্টা চালাচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ও করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। চতুর্থ ঢেউ আসার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না চিকিৎসকরা। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্র মনে করছে, যতটা সম্ভব বাড়ি থেকে কাজ করাটাই নিরাপদ।