আজ খবর ডেস্ক:
১৪ দিনের সিবিআই (CBI) হেফাজতের মেয়াদ শেষ। বুধবার ফের আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হবে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)।
এদিকে মঙ্গলবার থেকেই সক্রিয়তা বাড়ালো কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই (Bogtui) গণহত্যা কাণ্ডে অভিযুক্ত আরও ৭ জনকে গ্রেপ্তার করলো সিবিআই।পাশপাশি, ভাদু শেখ খুনের ঘটনায় ও ১জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সোমবার রাতেই বীরভূমের বিভিন্ন জায়গা থেকে এই ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। মঙ্গলবার আদালতে তুলে ধৃত এই আটজনকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে সিবিআই।
প্রসঙ্গত, গত ২১শে মার্চ রাতে মহিলা ও শিশু মিলিয়ে মোট ৯ জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছিল রামপুরহাটের বগটুইয়ে। তাঁদের ঘরবাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি বোমা মেরেছিল দুষ্কৃতীরা। পরে জানা গিয়েছিল, তৃণমূলের রামপুরহাট পঞ্চায়েত নেতা ভাদু শেখকে হত্যার পরিকল্পিত প্রতিশোধ হিসেবে এই নৃশংস ঘটনা ঘটানো হয়েছিল।
পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মামলার তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই।
চার্জশিটে সিবিআইয়ের তরফে অভিযোগ করা হয়, ভাদু শেখ নিহত হওয়ার পর তার অনুগত ও দলের সদস্যরা গ্রামে ঢুকে সন্দেহভাজন ওই সব পরিবারের ওপর আগুন ও বোমা নিয়ে তাণ্ডব চালায়।
সিবিআই অভিযোগ করেছে, দীর্ঘদিন ধরে ভাদু শেখ, পলাশ শেখ এবং সোনা শেখের গোষ্ঠীর মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার এবং বাণিজ্যিক যানবাহন থেকে অবৈধ ভাবে টাকা তোলা সহ অন্যান্য বেআইনি আয়ের ওপর নিয়ন্ত্রণের জন্য শত্রুতা ছিল।
গোটা ঘটনায় অনুব্রত মণ্ডলের “হাত” রয়েছে বলেই মনে করছে সিবিআই। কারণ ভাদু শেখ ছিল অনুব্রতর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ।
বগটুই কান্ডের পাশাপাশি এবার সিবিআইয়ের রাডারে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ী।
দীর্ঘ রোগভোগের পর ২০২০ সালে মৃত্যু হয় অনুব্রতর স্ত্রী ছবি মণ্ডলের। ক্যান্সার আক্রান্ত স্ত্রীকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা করান অনুব্রত। তার মধ্যে ছিল নিউটাউনের একটি ক্যান্সার হাসপাতাল। সিবিআই জানতে পেরেছে, অনুব্রতের স্ত্রী সেখানে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন মোট ৬৬ লক্ষ টাকা হাসপাতালের বিল বাবদ দিয়েছিলেন পেশায় ব্যবসায়ী রাজীব ভট্টাচার্য। সেই রসিদ হাতে পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
অর্থাৎ বুধবার ফের আদালতে তোলার আগে অনুব্রত মণ্ডলকে সবদিক থেকে ঘিরে ধরতে চাইছে সিবিআই।