আজ খবর ডেস্ক:
স্লোগান ছিল, “চোর ধরো, জেলে ভরো”।
কর্মসূচি ছিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শাসকের দপ্তর অভিযান ও আইন অমান্য। সেই কর্মসূচি ঘিরে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিল তমলুক।
সিপিআইএমের (CPIM) শ্রমিক, কৃষক, ক্ষেতমজুর সংগঠনের ডাকে আইন অমান্য কর্মসূচি ঘিরে পুলিশের সঙ্গে সিপিএম কর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষে বাধে।
বস্তুত ২০০৭ সালের নন্দীগ্রাম পরবর্তী পর্বে পূর্ব মেদিনীপুরে একই সঙ্গে লক্ষণ শেঠ “বিদায়” এবং সিপিএমের সংগঠন ক্ষয়িষ্ণু হতে থাকে। যদিও ২০০৮ এ হলদিয়া পুরবোর্ড সিপিএমের দখলে আসে, কিন্তু জেলায় আর সেভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারে নি দল, এমনটাই মনে করেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সিপিএমের একটা বড় অংশ।
এদিন তাঁদের বেশ কয়েকজনকে বলতে শোনা যায়, গত বেশ কয়েক বছরের মধ্যে এই প্রথম জেলায় এত শক্তি নিয়ে মিছিল করল সিপিএম। তাঁদের মতে, ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকে মীনাক্ষী মুখার্জির ভোটে লড়াই বামেদের বেশ খানিকটা শক্তি যুগিয়েছে।
এদিন জেলাশাসকের দপ্তর ঘেরাও কর্মসূচি ডেকেছিল সিপিএমের শ্রমিক কৃষক খেতমজুর সংগঠন। কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty), সিটু(CITU) রাজ্য নেতা অনাদি সাহুরা।
নিমতৌড়ি ঘুরে মিছিল জেলাশাসকের দপ্তরের দিকে এগোতেই বাধা দেয় পুলিশ। তখনই ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয় পুলিশ ও সিপিএম কর্মীদের মধ্যে।
পুলিশের অভিযোগ, আন্দোলনকারীদের ছোঁড়া ইটের আঘাতে বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। উত্তেজিত বিক্ষোভকারীরা
বেশ কয়েকটি ব্যারিকেড ভেঙে দেয় বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
পাল্টা বিক্ষোভকারীদের দাবি, আয়তনে বিশাল মিছিলকে ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান, কাঁদানে গ্যাস চালায় পুলিশ। লাঠি চার্জ করা হয় মিছিলে থাকা কর্মীদের ওপর। যা থেকে বাদ যাননি মহিলা ও বয়স্করাও।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, শুরুতে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ঘেরাটোপ ভেঙে এগিয়ে যায় মিছিল। তারপর মিছিল আটকাতে কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান চালায় পুলিশ। পাল্টা পুলিশের দিকে ইট ছুড়তে শুরু করেন বামকর্মীরা। বেশ কিছুক্ষণ গোটা এলাকা জুড়ে যান চলাচল পর্যন্ত বন্ধ ছিল। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশের অঞ্চলে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।