আজ খবর ডেস্ক:
শুরু হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে। মূলত রাজ্যে রাজ্যে আধার (Aadhaar) কার্ড তৈরি করার জন্য চুক্তি ভিত্তিক (Contractual) নিয়োগ করা হয়েছিল
যুবক-যুবতীদের। পরে ধীরে ধীরে প্যান কার্ড, জব কার্ড সহ কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারি বিভিন্ন পোর্টালের কাজ করানো হচ্ছিল এদের দিয়ে।
নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে সরকারি অনুমোদন নিয়ে কাজ করেন এই “তথ্যমিত্র” কর্মীরা।
কিন্তু একটানা প্রায় দু’বছর দেশ জুড়ে কোভিড (Covid19) পরিস্থিতির কারণে বদলে গেছে সেই চিত্র।
প্রাথমিক শর্ত অনুযায়ী প্রত্যেক রাজ্য সরকারকে এই তথ্য মিত্র কর্মীদের কাজের জন্য নূন্যতম জায়গা ও ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা।
সরকার বা প্রশাসনিক থেকে সেই সহায়তা না পাওয়ার কারণে ঠিকমতো কাজ চালিয়ে যেতে পারছেন না এই কর্মীরা, অভিযোগ তাঁদের।
এর আগে একাধিকবার নিজেদের সমস্যার ও দাবি দাওয়ার কথা প্রশাসনের কানে তুলেছেন কর্মীরা। পরিস্থিতি বদলায়নি বলে এবার পথে নেমে আন্দোলন শুরু করলেন তাঁরা।
মূল বক্তব্য, ডিজিটাল আর্মির নামে শোষণ নয় চাই ন্যয্য অধিকার।
একাধিক দাবির মধ্যে রয়েছে:
১) অবিলম্বে তথ্যকেন্দ্রে জব লিস্ট ও ফি লিস্ট দিতে হবে
২) তথ্যমিত্র কেন্দ্রের কর্মীদের কাজের জায়গা থেকে উৎখাত করা চলবে না।
৩) রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারি সব পোর্টালে কাজ করার অধিকার দিতে হবে।
৪) আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ই-শ্রম কার্ড সহ বিভিন্ন কাজের লেজার দিতে হবে ও কমিশনের টাকা বাঁকি রাখা যাবে না।
৫) তথ্যমিত্র কেন্দ্রের কর্মীদের নির্দিষ্ট বেতন, পি এফ (PF), ইএসআই (ESI), চালু করতে হবে।
মোট ১০ দফা দাবিতে ALL BENGAL CSC VLE UNION (CITU) এর ডাকে বুধবার ডেপুটেশন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী নেওয়া হয়েছিল।
সেই মোতাবেক এদিন দুপুরে শিয়ালদহ থেকে মিছিল শুরু হয়। মিছিল শেষ হয় CSC E- GOVERNANCE SERVICE INDIA LTD এর সদর দপ্তরে (মহাজাতি সদন সংলগ্ন)।
কর্তৃপক্ষের কাছে ডেপুটেশন পেশ করেন বিক্ষোভকারীরা।
কর্মসূচি তে উপস্থিত ছিলেন সিআইটিইউ (CITU) এর রাজ্য সভাপতি সুভাষ মুখোপাধ্যায়, ইউনিয়নের সভাপতি ইন্দ্রজিৎ ঘোষ সহ অন্যান্যরা। প্রায় ৫০০ কর্মী এদিন বিক্ষোভ মিছিলে হাজির ছিলেন।