আজ খবর ডেস্ক:
এমন ঘটনা রোজ কী আর ঘটে!
খোদ কলকাতার বুকে এমনই এক অদ্ভুত ঘটনার সাক্ষী থাকলো সম্প্রতি বারবার চর্চায় উঠে আসা এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতাল।


দমদমের নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (NSCBI Airport) দিন কয়েক আগে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন এক ব্রাজিলিয়ান যুবক। পেট ব্যথায় রীতিমত কাতরাতে থাকেন তিনি।
অসুস্থ ওই বিদেশি নাগরিককে নিয়ে আসা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসার পর ওই যুবকের মল থেকে ৪৪টি মাদক-ক্যাপসুল (Drugs) উদ্ধার করা হয়েছে। যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ চিকিৎসকদের।

প্রসঙ্গত, ওই যুবকের শরীর থেকে বের হওয়া ৪৪টি ক্যাপসুলের এক একটির ওজন প্রায় ১২ থেকে ১৪ গ্রাম। ক্যাপসুলের ভিতর থেকে প্রায় আধ কেজি ওজনের কোকেন (Cocaine) উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছিল সপ্তাহ খানেক আগে। বিমানবন্দর থেকে প্রথমে একটি বেসরকারি হাসপাতালে এবং তারপরে এসএসকেএমই নিয়ে আসা হয়েছিল ওই যুবককে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই হাসপাতাল থেকে ছুটি হয়েছে পাওলো নামের বছর ৩০ এর যুবকের।
শুক্রবার তাঁকে বারাসত আদালতে পেশ করা হয়। প্রেস বিবৃতিতে পুরো ঘটনাটি জানিয়ে মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা (NCB) বিশেষ কৃতিত্ব দিয়ে জানিয়েছে, চিকিৎসকদের অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্যই তারা কৃতজ্ঞ। তাদের সাহায্য ছাড়া এই মামলায় গোয়েন্দাদের পক্ষে বেশি দূর এগোনো সম্ভব হত না।

গত ১২ই আগস্ট ব্রাজিল (Brazil) থেকে দুবাই (Dubai) হয়ে কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন পাওলো সিজার পিনহেরিও বাস্তোস। ব্রাজিলের নাগরিক এই যুবককে বিমানবন্দর থেকেই গ্রেপ্তার করেছিল নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো। তাঁদের কাছে আগাম খবর থাকলেও পাওলো বা তাঁর সঙ্গিনীর কাছ থেকে কিছুই মেলেনি। কিন্তু NCB আধিকারিকদেরসন্দেহ হয়, পাওলো পাচার করে আনা ক্যাপসুল গিলে ফেলেছেন। পরে পাওলো তাঁর পেটে ব্যথার কথা জানালে তাঁকে প্রথমে বিমানবন্দর লাগোয়া একটি বেসরকারি হাসপাতাল এবং পরে এসএসকেএমে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই চিকিৎসার পর পাওলোর শরীর থেকে ওই মাদক-ক্যাপসুল উদ্ধার করেন এসএসকেএমের চিকিৎসকেরা।

প্রতীকী ছবি

মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থার তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে ঘটনাটি জানানো হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, বেসরকারি হাসপাতালের এক্সরেতেই পাওলোর শরীরের ভিতর ওই ক্যাপসুলগুলি দেখা যায়। পরে তাঁর বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক উপসর্গ দেখা গেলে পাওলোকে নিয়ে আসা হয় এসএসকেএমে। সেখানে তাঁকে ওষুধ দিয়ে মলের মাধ্যমে বের করে আনা হয় ক্যাপসুলগুলিকে। যা পরে পরীক্ষা করে নারকোটিক গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, ৪৪টি ক্যাপস্যুলের ভিতর ৪৯৭ গ্রাম কোকেন ছিল।


প্রাথমিক তদন্তের পর মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থার সন্দেহ, আন্তর্জাতিক মাদক চক্রের সঙ্গে জড়িত এই যুবক।
যে কোকেন তাঁর শরীর থেকে পাওয়া গিয়েছে, তা ভারতের কিছু বিশেষ ক্রেতাদের জন্যই আনা হয়েছিল বলে ধারনা তদন্তকারী আধিকারিকদের।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *