আজ খবর ডেস্ক:
বাঙালির দুর্গা পুজো (Durga Puja) আগেই ভুবন জোড়া খ্যাতি পেয়েছিল। এবার সেই পালকে যুক্ত হয়েছে ইউনেস্কোর (UNESCO) স্বীকৃতি। ফলে উৎসাহী রাজ্য সরকার (West Bengal Government) এবছর মাঠে নামছে বিস্তারিত পরিকল্পনা নিয়ে। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তোড়জোড়।


আগামী ২২ তারিখ, সোমবার দুর্গাপুজো নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাজনৈতিক পরিস্থিতির যাই হোক না কেন, দুর্গাপুজো নিয়ে বৈঠকে বিভিন্ন জেলা থেকে ব্লক এবং মিউনিসিপালিটি স্তরের পুজো কমিটিগুলিকে যোগ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খবর নবান্ন সূত্রে। ভার্চুয়াল এই বৈঠক হবে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে (Netaji Indoor Stadium)।

মুখ্যমন্ত্রী প্রধান বক্তা হিসেবে থাকবেন এই বৈঠকে। বিভিন্ন জেলার ব্লক ও মিউনিসিপালিটি স্তরে পুজো কমিটিগুলিকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন নবান্ন। সূত্রের খবর এই বৈঠক থেকেই বিভিন্ন ক্লাব গুলোকে পূজো অনুদানের বিষয়ে ঘোষণা করবেন মুখ্যমন্ত্রী।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, সে ব্যাপারে প্রাথমিক বৈঠক সেরে ফেলেছেন নবান্নের কর্তারা। তথ্য সংস্কৃতি সচিব শান্তনু বসু এবং এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিম বৈঠক করেছেন।

২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুজোকে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। তাই এবার দুর্গাপুজোকে সামনে রেখে মেগা মিছিল (Mega Rally) করতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী, বর্ণাঢ্য এই মিছিল কলকাতার তিন প্রান্ত থেকে শুরু হয়ে ধর্মতলায় মিশবে। উত্তর থেকে দক্ষিণ নানান ক্লাবের উপস্থিতি তো থাকছেই, সঙ্গে থাকবে থিম ভাবনা, ধুনুচি নাচ, ঢাকির দল প্রভৃতি।
ইতিমধ্যেই রেড রোডে ১৫ই আগস্টে দেখা মিলেছে পুজো ট্যাবলের। তখন থেকেই অনুমান করা গিয়েছিল, এবার পুজোয় বিশেষ কিছু নজর কাড়া ভাবনা রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
প্রশ্ন উঠেছিল চলতে থাকা এই রাজনৈতিক ডামাডোলের মধ্যে, কবে হবে এই মিছিল?‌ নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে আগামী ১লা সেপ্টেম্বর এই মিছিল হবে শহর জুড়ে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই বলেছিলেন, দুর্গাপুজো বাঙালিদের সবচেয়ে বড় উৎসব। এই পুজোর একটা ব্যবসায়িক দিকও রয়েছে। দুর্গাপুজোকে সামনে রেখে গোটা রাজ্যে কোটি টাকার ব্যবসা হয়। একটা বৃহৎ অর্থনীতি, মানুষের পরিশ্রম এই পুজোর সঙ্গে জড়িত। আগামী ১ সেপ্টেম্বর মিছিল হবে।
এবার আসা যাক ক্লাবগুলোর অনুদান প্রসঙ্গে। গতবার ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়েছিল পুজো কমিটিগুলিকে। তার আগের বছরও টাকার অঙ্ক ছিল একই। এবার দেখার সেই অঙ্ক বাড়ে কিনা। কারণ বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই পূজোর খরচও বেড়েছে। পুজো কমিটিগুলির প্রত্যাশা, সরকার থেকে বাড়ানো হোক অনুদানের পরিমাণ।
তবে এমনিতেই সরকারের হাতে যে খুব একটা টাকা নেই বিভিন্ন সময় তা নিজেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি দিল্লি সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে দেখা করে বিভিন্ন খাতে রাজ্যের পাওনার দাবি জানিয়ে এসেছেন মমতা। যার পরিমাণ এক লক্ষ কোটি টাকারও বেশি।


এই পরিস্থিতিতে পুজো অনুদানের বিষয়টি রাজ্য সরকার কী করবে তা নিয়ে অনেকের মধ্যেই কৌতূহল রয়েছে। ২২ অগাস্ট বিকেল ৪টে নাগাদ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা পুজোর বিশেষ বৈঠক। কী ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী, সেদিকেই নজর সবার।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *