আজ খবর ডেস্ক:
এবারের পুজো বেশ স্পেশাল রাজ্যের কাছে। ইউনেস্কোর (Unesco) বিশেষ স্বীকৃতি পাওয়ার পর, তাই উঠেপড়ে লেগেছে রাজ্য প্রশাসনও।


ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ঘোষণা করেছেন, আগামী ১লা সেপ্টেম্বর রাজ্যজুড়ে হবে পুজোর মহা মিছিল (Puja Rally)।
আর এবার পুজোকে সামনে রেখে দেশি-বিদেশি পর্যটক দের আকৃষ্ট করতে নতুন পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য পর্যটন দপ্তর (West Bengal Tourism)।


খাতায় কলমে পুজো শুরু হচ্ছে অক্টোবরের ১ তারিখ থেকে। তবে তার আগেই রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে বাংলার গ্রামীণ শিল্পকে তুলে ধরতে চূড়ান্ত পরিকল্পনা নিল প্রশাসন। পর্যটন, খাদি ও গ্রামীণ শিল্প কেন্দ্র,বিবিএমসি, বন দপ্তর, রেশম শিল্প ও পঞ্চায়েতের স্বনির্ভর গোষ্ঠী “আনন্দধারা”র সম্মিলিত উদ্যোগে রাজ্য সরকার পরিচালিত পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে থাকবে নানান কিয়স্ক (Kiosk)।

সব জায়গাতেই থাকবে এক মডেলের কিয়স্ক। সেখানে বাংলার হস্ত শিল্প, তাঁতের কাপড় বনদপ্তরের মধু বা কাসুন্দি ছাড়াও থাকবে বিভিন্ন জেলার বিশেষ বিশেষ আকর্ষণ। সিউড়ির মোরব্বা, শান্তিনিকেতনের বাটিকের কাজ করা পোশাক, দার্জিলিংয়ের চা অথবা বাঁকুড়ার পোড়ামাটির ঘর সাজানোর সামগ্রী, কৃষ্ণনগরের মাটির পুতুল।
এক কথায় বলতে গেলে, পর্যটন কেন্দ্রিক নানা স্মারক বিক্রির ব্যবস্থা থাকবে। যাঁরা কিয়স্কে সেলসম্যান হিসেবে থাকবেন তাদের পোষাক কেমন হবে তাও ঠিক করে দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন।

সারা রাজ্যে ৩০শে সেপ্টেম্বর থেকে এই কিয়স্ক চালু হবে। সব জেলার জেলাশাসকদের কাছে পৌঁছে গিয়েছে নবান্নের এই নির্দেশ।
বস্তুত, দুর্গা পূজাকে কেন্দ্র করে গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে চাইছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের ক্ষুদ্র্,মাঝারি ও কুটির শিল্প দপ্তরের সচিব রাজেশ পাণ্ডে ইতিমধ্যেই পর্যটন কেন্দ্রিক ১১ জেলাকে কিয়স্কের নকশা অনুমোদন করে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
বিভিন্ন সময় বারবার মুখ্যমন্ত্রী পর্যটনের ওপর জোর দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। দেখা দিয়েছে দুর্গাপুজোর সময় একদিকে যেমন প্রবাসী বাঙালিরা ঘরে ফেরেন ঠিক তেমনই পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর বিদেশী নাগরিক কলকাতায় আসেন বাংলার পুজো দেখতে।


এই বিষয়টি মাথায় রেখেই গত কয়েক বছর ধরে ভাসানের দিন কার্নিভাল (Puja Carnival) শুরু করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেড রোডের সেই কার্নিভালে প্রচুর বিদেশী সমাগম চোখে পড়েছে গত কয়েক বছর ধরে।
এমনকি রাজ্যের তরফে “বিশ্ব বাংলা বিপণী” (Biswa Bangla Store) চালু হয়েছিল। সেখানেও মূল উদ্দেশ্য ছিল বিভিন্ন জেলার বিশেষ বিশেষ সামগ্রী এক ছাদের তলায় এনে বিপণনের ব্যবস্থা করা।

এবার পুজোর সময় জেলায় জেলায় ছড়িয়ে থাকা রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্র গুলিতে ভাবনাও সেভাবেই এসেছে রাজ্য প্রশাসনের মাথায়। এই তালিকায় রয়েছে কলকাতাও। শহরের প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলা, নন্দন ও আলিপুর চিড়িয়াখানায় থাকবে এই কিয়স্ক।


বাকি দশ জেলা হল আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিঙ, কালিম্পং,মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বীরভূম, কোচবিহার, পূর্ব মেদিনীপুর,নদীয়া, বাঁকুড়া।
আনন্দধারার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কিয়স্কগুলিতে যারা সেলসম্যান হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তাদের তিন মাসের বেতনও মেটাবে সরকার। পরে সংশ্লিষ্ট স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে পণ্য বিক্রি করে টাকা তুলতে হবে।
দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে যাবতীয় স্বাচ্ছন্দের দিকে নজর রাখা হচ্ছে। ব্যবস্থা করা হচ্ছে নিরাপত্তার। পানীয় জল থেকে শৌচালয় সবরকম পরিষেবার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *