আজ খবর ডেস্ক:
দিদির (Mamata Banerjee) দেওয়া “বীরের সম্মান” যে তাঁর আত্মবিশ্বাস কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে, তা বলাই বাহুল্য।
শুক্রবার সকালের অনুব্রত (Anubrata Mondal) আর মাত্র ১দিন আগের অনুব্রতর চেহারায়, হাবে-ভাবে বিস্তর ফারাক।
এদিন সকালে আসানসোল সংশোধনাগার থেকে কলকাতার দিকে রওনা দেওয়ার সময় সংবাদমাধ্যমের সামনে আবার সেই পুরনো মেজাজে দেখা গেল তাঁকে। আত্মবিশ্বাসের সুরে কেষ্ট বললেন, ‘‘নিশ্চয়ই ছাড়া পাব।’’


প্রসঙ্গত, মঙ্গলকোট বিস্ফোরণ মামলায় বিধাননগরে এমপি-এমএলএ আদালতে পেশ করার জন্য সাতসকালে আসানসোল সংশোধনাগার থেকে কলকাতায় আনা হয়েছিল অনুব্রতকে।
জেল থেকে বেরিয়ে গাড়িতে ওঠার সময় তৃণমূলের দাপুটে নেতা বলেন, ‘‘জেলে কন্টিনিউ কেউ থাকে না, ছাড়া পায়। নিশ্চয়ই ছাড়া পাব, ছাড়া পেলে যাব। এ আর বলার কী আছে।’’

বৃহস্পতিবারই নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের বিশেষ সমাবেশে স্বয়ং তৃণমূলনেত্রী আবারও কেষ্টর পাশে থাকার বার্তা দিয়ে বলেছিলেন, ‘‘বীরের সম্মান দিয়ে ওকে (অনুব্রত) জেল থেকে বার করে আনবেন।’’
গরু পাচার-কাণ্ডে (Cattle Smuggling Case) সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেপ্তারের পর কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন অনুব্রত। শুক্রবার সকালে অনুব্রতের বডি ল্যাঙ্গোয়েজ কিন্তু অনেকটাই বদলে গেছে।
২০১০ সালের মঙ্গলকোট বিস্ফোরণ মামলায় এদিন “বেকসুর খালাস” পেলেন অনুব্রত মণ্ডল। তথ্যপ্রমাণের অভাবে অনুব্রতকে এই মামলায় “বেকসুর খালাস” করল বিধাননগরের এমপি-এমএলএ আদালত।
এই মামলায় অনুব্রতর সঙ্গেই অভিযুক্ত ছিলেন আরও ১৪ জন। প্রত্যেককেই “বেকসুর খালাস” করেছে আদালত। এই রায়ের পর আত্মবিশ্বাসের সুরে কেষ্ট বলেন, ‘‘দিদি বলার পর আর বলার কিছু থাকে না।’’

ফুরফুরে মেজাজে এদিন প্রাতরাশ সারলেন কেষ্ট। সিঙ্গুরে খাবার হাতে তাঁর জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন রাজ্য পুলিশের এক কর্মী।
অনুব্রতর জন্য চারটে রাধাবল্লভী, ছোলার ডাল আর দুটো সেদ্ধ ডিমের ‘অর্ডার’ ছিল জাতীয় সড়কের পাশে সিঙ্গুরের ‘নবান্ন’ হোটেলে। সেই জলখাবার নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন এক জন ট্র্যাফিক পুলিশ কর্মী।
পরে এক কাপ লিকার চা খান কেষ্ট।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *