আজ খবর ডেস্ক:
শরীর খারাপ, বাড়িতে দুর্গা পুজো রয়েছে৷ প্রয়োজনে বীরভূমে ঢুকবেন না। কলকাতায় থেকে রোজ হাজিরা দেবেন সিবিআই (CBI) দপ্তরের। এত আবেদন নিবেদনেও বিচারকের মন গলল না।
আগামী চোদ্দ দিন জেলেই কাটাতে হবে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)। আগামী ৫ই অক্টোবর অর্থাৎ দশমীর দিন ফের শুনানি কেষ্ট মামলার।


গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) বুধবার আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করা হয় তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতিকে৷ কিন্তু শুনানি চলাকালীন সিবিআই আইনজীবী বলেন, জামিন পেলে অনুব্রত মণ্ডল সাক্ষীদের ভয় দেখাতে পারেন। তিনি আরও জানান, এখনও তদন্ত চলছে। অনেক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। গরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত এমন অনেক সন্দেহভাজনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে৷ তাঁদের সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের যোগ আছে। তাই এখনই জামিন নয় কেষ্টর।

দিন কয়েক আগেই এক অনুষ্ঠানে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেছিলেন “কেষ্ট পরোপকারী ছেলে”।
বস্তুত অনুব্রত মণ্ডলের পেছনে গোটা তৃণমূল কংগ্রেস দাঁড়ালেও রাজনৈতিক মহলের অভিমত, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছে দল৷ দলের “মহাসচিব” পদ এবং মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় পার্থকে৷কিন্তু অনুব্রতর ক্ষেত্রে উল্টো অবস্থান! তৃণমূল নেত্রী অনুব্রতকে “বীরের সম্মান” দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন৷
কিন্তু মমতা যে ভুল কথা বলেননি এদিন তা প্রমাণিত হল। “পরোপকারী”, ” অন্যের বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়া” কেষ্ট নিজে জামিন না পেলেও সিবিআই আধিকারিকদের কাছে খোঁজ নিলেন, একদা সতীর্থ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শরীর কেমন আছে।

এদিন আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে তদন্তকারী আধিকারিকের কাছে পার্থর খোঁজ নিলেন অনুব্রত। শুনানি শেষে গরু পাচার মামলায় সিবিআই-এর তদন্তকারী অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্যর কাছে পার্থর খোঁজ নেন অনুব্রত৷
এ দিন শুনানির শেষে সিবিআই আধিকারিক সুশান্ত ভট্টাচার্যকে অনুব্রত জিজ্ঞেস করেন, “পার্থ কেমন আছে?” জবাবে সুশান্ত বলেন, নিজাম প্যালেসে সিবিআই দপ্তরে চা দেওয়ার দায়িত্বে থাকা এক কর্মীর সঙ্গে প্রথম দিকে পার্থ খারাপ ব্যবহার করতেন৷ কিন্তু এখন তাঁর সঙ্গে বেশিরভাগ কথা বলেন পার্থ।


এ দিনও অনুব্রতর আইনজীবী তাঁর শারীরিক অসুস্থতার কথা বলে জামিনের আর্জি জানান৷ কিন্তু তা নাকচ হয়ে যায়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *