আজ খবর ডেস্ক:
নজরে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন। এবার তাই নয়া প্রযুক্তির রণকৌশল নিয়ে মাঠে নামছে বিজেপি (BJP)। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে যে বুথগুলোতে দলের হার হয়েছে, প্রথম টার্গেট হল সেগুলো পুনরুদ্ধার।
দেশ জুড়ে প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্রে ৩০ জন করে কার্যকর্তা বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গেরুয়া শিবির।


যে লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি গত লোকসভা নির্বাচনে হার হয়েছিল, সেখানে পার্টির রাজ্যসভার সাংসদদের নির্ধারিত কাজ বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সেই সব বুথ চিহ্নিত করতে হবে তাঁদের। তারপর সেই সব খুঁটিনাটি তথ্য জানাতে হবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে।
নিছক খাতায় কলমে নয়, এজন্য নতুন ডিজিটাল অ্যাপ (Digital App) নিয়ে মাঠে নামছে বিজেপি। যার নাম দেওয়া হয়েছে “সরল” (Saral App)।

ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গিয়েছে সেই অ্যাপ। যা google এ সার্চ (Search) করলেই পাওয়া যাচ্ছে।
সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) নির্দেশের পর, ভারতীয় জনতা পার্টি হারানো বুথের তালিকা শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে জমা দিয়েছে। এরপরেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী সাধারণ নির্বাচনের আগে সেই সব এলাকায় ফোকাস করা হবে।
দলীয় নেতৃত্ব ঠিক করেছে, প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্রের জন্য এই ৩০ জন সদস্য নির্দিষ্ট এলাকায় একটি ‘প্রবাস’-এ থাকবেন। যা স্থানীয় এলাকা এবং স্থানীয় ভোটারদের সমস্যা চিহ্নিত করতে তাঁদের সাহায্য করবে। সেখান থেকে পাওয়া বিভিন্ন এলাকা ভিত্তিক পর্যবেক্ষণ দলের কাছে রিপোর্ট আকারে পৌঁছে দেওয়া হবে।

গেরুয়া শিবিরের একাংশ বলছে, দেশের প্রায় ৭৮ হাজার বুথে বিজেপির ভোটার বেশ কম। বিরোধীরা অনেক এগিয়ে ওই বুথগুলোতে। এর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য যেখানে বিজেপি ফোকাস করছে, তা হলো পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal)। কেন ওই বুথ এলাকার মানুষ নরেন্দ্র মোদির সরকারের কাজকর্মে সন্তুষ্ট নন, তার কারণ খোঁজা শুরু করেছে বিজেপি। গত ৩১ অগস্ট সেই কাজের প্রাথমিক পর্ব শেষ করেছে দল।


প্রথম পর্বে ওই ৭৮ হাজার বুথে সমীক্ষা করিয়েছে বিজেপি। সমীক্ষা থেকে পাওয়া পরিসংখ্যান ‘সরল’ সফটওয়্যারে আপলোড করার কাজও বেশিরভাগ রাজ্য শেষ করে ফেলেছে। দলের সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠকে সর্বশেষ অগ্রগতির কথা জানিয়েছেন বিজেপি (BJP) সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)।

কী ভাবে মিলবে ডিজিটাল সমাধান?
বিজেপির দিল্লির নেতারা বলছেন, সফটওয়্যার তথ্য পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে জানিয়ে দেবে কী কী কারণে ৭৮ হাজার বুথের ভোটারেরা বিজেপিকে ভোট দেয় না। সেখানে ভোটের ধরণ, ধারাবাহিকতা, ভোটারদের মানসিকতা, এলাকার নির্বাচনী ইসু ইত্যাদি বিষয় খতিয়ে দেখবে ওই সফটওয়্যার।
এই কাজে বিজেপি মূল দায়িত্ব দিয়েছিল সাংসদদের। দলের প্রত্যেক সাংসদদে একশোটি করে দুর্বল বুথের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
দেশে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের জন্য দু বছরেরও কম সময় হাতে।


সংসদ সদস্যদের “সরল” অ্যাপের মাধ্যমে দলের বিস্তারিত তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে। অ্যাপটি সকলের জন্য অ্যাক্সেসযোগ্য এবং উন্মুক্ত নয়। শুধুমাত্র দলীয় এমপিরা – তাঁদের অফিসিয়াল মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে এই অ্যাপ পরিচালনা করতে, অ্যাক্সেস করতে এবং তথ্য জমা দিতে পারবেন৷

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *