আজ খবর ডেস্ক:
ইডি/সিবিআইয়ের (ED/CBI) পাল্টা সিআইডি (CID)!
গত কয়েক মাস ধরে রাজ্যজুড়ে সক্রিয় দুই কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা।
একদিকে এসএসসি নিয়োগে দুর্নীতি (SSC Scam) আর অন্যদিকে কয়লা ও গরু পাচার কান্ড (Coal/Cattle Smuggling)।
সমান্তরাল ভাবে দেখা যাচ্ছে সক্রিয় হয়েছে রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি ও। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি চালানো, গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেছে।


এবার কয়লা পাচার কাণ্ডে আসানসোলের বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে (Jitendra Tiwari) তলব করল সিআইডি।
শুক্রবার তাঁকে ভবানী ভবনে ডাকা হয়েছে। আসানসোল লাগোয়া বিভিন্ন অঞ্চলে কয়লা পাচার সংক্রান্ত অভিযোগের ভিত্তিতে এর আগেও কয়েক জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। জেরা করা হয়েছে অনেক পুলিশ আধিকারিককেও।

কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলো তদন্ত শুরু করার পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নির্দেশ দিয়েছিলেন, সমান্তরাল তদন্ত চালাবে রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা। সেই মত কাজ শুরু করে সিআইডি।


সূত্রের খবর, আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের অন্ডাল থানার একটি পুরনো কয়লা চুরির মামলাতে সাক্ষী হিসেবে জিতেন্দ্র সহ বেশ কয়েকজনকে ডাকা হয়েছে।
আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র ছাড়াও আসানসোল জেলা বিভাগীয় ইনচার্জ বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী, আসানসোলের বিজেপি নেতা সুব্রত মিশ্র, বাঁকুড়া জেলার প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্রকেও সিআইডির তরফে নোটিস পাঠানো হয়েছে। এঁদের মধ্যে কাউকে কাউকে বুধবার এবং বৃহস্পতিবারও তলব করা হয়েছে বলে সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে।
সিআইডি সূত্রে খবর, খনি এলাকার আধিকারিক ও কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই উঠে এসেছে কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। সেখানেই নাম উঠেছে আসানসোলের প্রাক্তন মেয়রের।

এদিকে এই বিষয়ে জানতে যাওয়া হলে জিতেন্দ্র বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে “প্রতিহিংসা’র রাজনীতি” হচ্ছে।
নোটিস পাওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়ে জিতেন্দ্র বলেন, ‘‘তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে নোটিস দেওয়ানো হয়েছে। এ ব্যাপারে কী বলব আমি? আমি আইন মেনে চলি। সাক্ষী হিসাবে যদি আমাদের কাছে জানতে চান তা হলে নিশ্চয়ই আমরা জানিয়ে দেব।’’ দীর্ঘদিন তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) দাপুটে নেতা হিসেবে কাজ করেছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। নিজের পুরনো দলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলে এদিন তিনি আর ও বলেন, “যেখানে সিবিআই ইতিমধ্যেই আদালতের তত্ত্বাবধানে তদন্ত করছে, সেখানে হঠাৎ সিআইডির মনে হল আমাদেরও তদন্ত করা উচিত। আর বিজেপির সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের কাছেই সব তথ্য পাবে, তাদের সাক্ষী হিসাবে ডাকবে— এটা সকলেই বুঝতে পারছেন কী হচ্ছে।’’


তবে জিতেন্দ্রর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, আগে থেকেই শুক্রবার নির্দিষ্ট রাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। ফলে আগামীকাল তিনি ভবানী ভবনে হাজিরা দেবেন কিনা, তা এখনও নিশ্চিত নয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *