আজ খবর ডেস্ক:
জিতলেন গোলরক্ষক। হারলেন স্ট্রাইকার। তিনি চেয়েছিলেন, ফেডারেশনের নির্বাচন (AIFF Election) হোক পুরোপুরি রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত। তা হলেই ভারতীয় ফুটবলের উন্নতি হবে। ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট পদে লড়েছিলেন বাইচুং ভুটিয়া (Bhaichung Bhutia)।


কিন্তু লক্ষ্য পূরণ হল না।
ভারতীয় ফুটবলের মাথায় বসবেন কল্যাণ চৌবে (Kalyan Choubey)। এআইএসএফ প্রেসিডেন্ট পদের নির্বাচনে বাইচুং ভুটিয়াকে ৩৩-১ ভোটে হারালেন কল্যান।

প্রেসিডেন্ট পদে বাইচুংয়ের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন প্রাক্তন TFA শিক্ষার্থী কল্যাণ চৌবে। এখন তিনি পুরোদস্তুর রাজনীতিক। বিজেপির হয়ে ভোটে লড়ার পর এই মুহূর্তে বিজেপির উত্তর কলকাতার জেলা সভাপতি তিনি। ফলে জাতীয় ফুটবল সংস্থার লড়াইয়েও কল্যাণের পেছনে ছিল বিজেপির প্রত্যক্ষ মদত।
ভোটের ফল বেড়ানোর পর দেখা গেল, কল্যাণকে রাজ্য সংস্থার প্রতিনিধিরা বেশি মাত্রায় সমর্থন করেছেন। বাইচুংকে প্রাক্তন ফুটবলাররা সমর্থন করলেও তাঁদের ফেডারেশন নির্বাচনে কোনও ভোট ছিল না। তাই সেই সমর্থন কাজে আসেনি।

প্রথমে দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্র থেকে আর তারপরে শিলিগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) প্রার্থী হয়ে লড়েছিলেন বাইচুং ভুটিয়া। ফলে অনেকেই মনে করছেন লড়াইটা পরোক্ষ ভাবে ছিল বিজেপি (BJP) বনাম তৃণমূলের।
এআইএফএফ ভোটের আগে বাইচুং বলেছিলেন, “আমি যদি প্রেসিডেন্ট হতে পারি, সবার আগে রাজ্য সংস্থাগুলোকে বড় অর্থ দিতে চাই। যাতে ওরা তৃণমূল স্তর থেকে ফুটবলের উন্নতি করতে পারে। ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান-মহামেডানকে এমন জায়গায় নিয়ে যেতে হবে, যাতে স্পনসর না পেলেও ওরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে। রাজ্য স্তর থেকে ভালো ফুটবলার তৈরি করতে হবে। শুধু নির্দেশ দিলে হবে না। খেলোয়াড় তৈরির ক্ষেত্রে ফুটবল ফেডারেশনকে বড় ভূমিকা নিতে হবে। প্রাক্তন ফুটবলারদের কোচ হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে।”
কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল, বাইচুংকে তাঁর নিজের রাজ্য সিকিমও সমর্থন করেনি। ঘরেই তিনি সমাদর পাননি, যে কারণে শুরু থেকেই প্রেসিডেন্ট পদের জন্য পিছিয়ে ছিলেন। 

ঘটনাচক্রে, এআইএফএফের ৮৫ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও প্রাক্তন ফুটবলার প্রেসিডেন্ট পদে বসলেন। এই ভোটে শুরু থেকেই ফেভারিট ছিলেন কল্যাণ। তবে ভোটের লড়াই এতটা একপেশে হবে, ভাবেননি কেউই। কারণ বাইচুং ভুটিয়া ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম কিংবদন্তি।


বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ভোটের অনেক আগে থেকেই রাজ্য ফুটবল সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠক করে তাদের সমর্থন আদায় করে নিয়েছিলেন কল্যাণ। ভোটের ফলেও তাঁর ইঙ্গিত মিলেছে। মাত্র দু’টি সংস্থা ছিল বাইচুংয়ের পাশে।
ভোটের ফলে দেখা যাচ্ছে, মাত্র একটি ভোট পেয়েছেন। অর্থাৎ তাঁর পাশে দাঁড়ানো রাজ্য সংস্থারও আস্থা অর্জন করতে পারেননি বাইচুং।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *