আজ খবর ডেস্ক:
আপডেট: আগামী ১৪ই সেপ্টেম্বর দিল্লিতে ইডির সদর দপ্তরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হল মন্ত্রী মলয় ঘটককে।

কলকাতা এবং আসানসোল মিলিয়ে রাজ্যের বর্তমান আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের (Moloy Ghatak) মোট ৭টি বাড়ি। বুধবার সকাল থেকে এই ৭বাড়ি ও অফিসে এক যোগে তল্লাশি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা সংস্থা।
যদিও আসানসোল বা কলকাতায় নিজের কোনও বাড়িতেই মলয় ঘটককে পায়নি কেন্দ্রীয় এজেন্সি। মন্ত্রীর খোঁজ মিলেছে বিবাদি বাগে রাজভবনের (Raj Bhavan of Kolkata) মন্ত্রী আবাসনে। এখনও সেখানেই মলয়ের জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে সিবিআই (CBI)।
এদিকে আসানসোলে মলয় ঘটকের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশির প্রতিবাদে পথে নেমেছে তৃণমূল (TMC)। আসানসোলের রাস্তায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন দলের কর্মী সমর্থকরা।

সিবিআই সূত্রে খবর, কয়লা পাচার (Coal Smuggling Case) তদন্তে নেমে একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের লাগাতার জেরা করে নিত্যনতুন তথ্য উঠে আসছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। সেই সূত্রে ধরেই রাজ্যের আইনমন্ত্রীর নাম উঠে এসেছে। সেই খবরের ভিত্তিতে বিভিন্ন নথির খোঁজে আইন মন্ত্রীর (Law Minister of Bengal) আসানসোলের বাড়িতে হানা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।
আসানসোলের তিনটি বাড়ি, কলকাতায় লেক গার্ডেন্সের বাড়ির পর বুধবার সিবিআই পৌঁছয় মন্ত্রী মলয় ঘটকের সরকারি বাসভবনে। সেখানে মূল দরজা বন্ধ করে রেখেছে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। ভেতরে তল্লাশি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।


বুধবার সকালে প্রথমে সিবিআই টিম পৌঁছয় আসানসোলের ভগৎসিং মোড়ে মলয় ঘটকের বাড়িতে। সেখানে মন্ত্রীকে না পেয়ে সিবিআই যায় চেলিডাঙায় তাঁর পৈতৃক বাড়িতে। এই বাড়িতে থাকেন মলয়ের ভাই তথা আইএনটিটিইউসির (INTTUC) নেতা অভিজিৎ ঘটক। পরের গন্তব্য ছিল আখতার গার্ডেনে মলয় ঘটকের অন্য একটি বাড়ি। আখতার গার্ডেন থেকে সকাল সওয়া আটটা নাগাদ ভগৎ সিং মোড়ে মলয় ঘটকের এখনকার বাড়িতে ফিরে আসে সিবিআই টিম। এই বাড়িতেই এখন থাকেন মলয়। সেখানে আলমারির তালা খোলার জন্য একজন চাবিওয়ালাকেও ডেকে আনে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

সিবিআইয়ের দাবি আসানসোলের বাড়িতে মন্ত্রী মলয় ঘটক না থাকলেও সেখানে রয়েছে বেশ কয়েকটি আলমারি (Almirah)। আবার সেই আলমারির চাবি নেই নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে। তাই চাবিওয়ালা ডেকে সেই আলমারির তালা খোলার চেষ্টা করা হয়।


প্রসঙ্গত, এর আগে পুরসভা ভোটের সময় কয়লা পাচার-কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজ্যের তৎকালীন পূর্ত ও আইনমন্ত্রী মলয়কে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)।


সেই জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি ও হয়েছিলেন মলয়।
সম্প্রতি কয়লা-কাণ্ডে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। অভিষেকের শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরকে দিল্লিতে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে নোটিস পাঠানো হয়। যদিও এর বিরোধিতায় হাই কোর্টে মামলা করেন মেনকা। পরে আদালত জানায়, কলকাতাতেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে তাঁকে। পাশাপাশি, কয়লা পাচার-কাণ্ডে এখনই অভিষেকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না ইডি। সম্প্রতি এমনই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতের ডিভিশন বেঞ্চ।

মেনকা গম্ভীর ও অভিষেক ব্যানার্জি


ফলে রাজনৈতিক মহল মনে পড়ছে, অভিষেকের এই “রক্ষাকবচ” থাকার কারণে আপাতত মলয় ঘটককে টার্গেট করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *