আজ খবর ডেস্ক:
সদ্য সমাপ্ত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের (Presidential Election) সময় দলের নির্দেশ অমান্য করে দিল্লিতে গিয়ে ভোট দিয়েছিলেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ (TMC MP) শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari)। সেদিনও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) পিতা বলেছিলেন, “আমি তৃণমূলেই আছি৷ নেত্রীর নির্দেশ মেনেই ভোটদান করেছি”।


কিন্তু ফের জল্পনা ছড়িয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। আর তা হল ছেলের দেখানো পথেই কি হাঁটতে চলেছেন বাবা? দলবদল মামলায় ফের শুভেন্দু পিতা শিশির অধিকারীকে তলব করলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। আগামী ১২ই অক্টোবর ওই শুনানিতে হাজির থাকতে বলা হয়েছে শিশিরকে। প্রশ্ন উঠেছে, গত দু’বারের মত এবারও কি শিশির গরহাজির থাকবেন? নাকি, দল বদলে ছেলের দেখানো পথেই হাঁটবেন?

সাংসদ শিশির অধিকারীকে সমন পাঠাল লোকসভার প্রিভিলেজ কমিটি । ১২ই অক্টোবর বেলা সাড়ে ১২টায় হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
প্রসঙ্গত, গত ২০শে সেপ্টেম্বর তৃণমূলের পক্ষ থেকে শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজ নিয়ে দ্রুত শুনানির আর্জি জানানো হয়। লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার (Om Birla) সঙ্গে দেখা করে আর্জি জানান তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sudip Banerjee)। পাল্টা ব্যারাকপুরের সংসদ অর্জুন সিংকে (Arjun Singh) নিয়ে তৃণমূলের অবস্থান জানতে চান স্পিকার। কারণ সম্প্রতি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে এসেছেন অর্জুন সিং।

এই বিষয়ে সাংসদ শিশির অধিকারী জানিয়েছেন, তিনি দিল্লি যাবেন কিনা তা নির্ভর করছে তাঁর চিকিৎসকের সিদ্ধান্তের ওপর। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, “চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়েই বেঁচে আছি। প্রতিটি পদক্ষেপ করতে হয় চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে। তাঁরা অনুমতি দিলেই নয়াদিল্লি যেতে পারব। আর না হলে পারব না।‌”
২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে পূর্ব মেদিনীপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সভামঞ্চে দেখা মিলেছিল কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীর। প্রসঙ্গত সেটি ছিল বিজেপির নির্বাচনী জনসভা। এরপরই শিশিরের সাংসদ পদ খারিজের দাবিতে লোকসভার অধ্যক্ষকে চিঠি দেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই থেকে চলছে টানাপোড়েন।

বিধানসভা ভোটের মুখে, ২০২০’র ডিসেম্বরে বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী। পরের বছরের শুরুতেই গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান শুভেন্দুর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীও। দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হলেও, শিশির এখনও তৃণমূলের সাংসদ পদ ছাড়েননি।


চলতি বছরের জুলাই মাসে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ফল বেরনোর পর শুভেন্দু দাবি করেছিলেন, লোকসভা ও রাজ্যসভায় তৃণমূলের ৩৪ জন সাংসদের মধ্যে ৪ জন ক্রস ভোটিং করেছেন। তার মধ্যে দুটি ভোট দ্রৌপদী মুর্মু পেলেও, বাকি দুটো ভোট বাতিল হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার ফের শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজের দাবিতে লোকসভার স্পিকারের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।


সুদীপের দাবি, “শিশির অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা অস্বীকার করলেও, তাঁর বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। উনি যে বিজেপিতে তার যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ দেওয়া হয়েছে লোকসভার অধ্যক্ষের কাছে। আমরা দ্রুত সিদ্ধান্ত চাই”।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *