আজ খবর ডেস্ক:
টালা ব্রিজে (Tala Bridge) শুরু হল বাস-মিনিবাস চলাচল। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে টালা ব্রিজ দিয়ে বিভিন্ন রুটে ছুটতে শুরু করল। ৩বছর পরে নতুন করে শহর কলকাতা (Kolkata) ফের সাক্ষী থাকল সেই পুরোনো ছবির।
গত ২২শে সেপ্টেম্বর নতুন টালা ব্রিজের উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
ব্রিজ উদ্বোধনের পর ছোট গাড়ি চলাচলের অনুমতি দেওয়া হলেও ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। বাস চালানোর জন্য দফায় দফায় পরিবহণ দপ্তরের কাছে আবেদন জানিয়েছিল বাস মালিকদের সংগঠন। চতুর্থী থেকে টালা ব্রিজের ও পর দিয়ে বাস-লরি চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়।
প্রাথমিকভাবে টালা ব্রিজের ও পর দিয়ে বাস বা ভারী যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে আপত্তি ছিল পুলিশের। কিন্তু পূর্ত দপ্তরের তরফে জানানো হয়, ব্রিজে চতুর্থী থেকে বাস চলাচল করতে পারবে। ৪ লেনের এই টালা ব্রিজ দিয়ে বাস চলাচল শুরু হয়ে যাওয়ায় একদিকে যেমন পুজোয় দারুণ সুবিধা হল দর্শনার্থীদের, অন্যদিকে আমজনতার কাছে নিঃসন্দেহে এটা একটা বড় আকর্ষণ।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের দুর্গাপুজোর আগে থেকে টালা ব্রিজে বন্ধ হয়েছে বাস চলাচল। তবে এদিন থেকে পুরোনো সমস্ত রুটের বাস চলবে নতুন টালা সেতুর ওপর দিয়ে। যাত্রীদের ওঠা নামার জন্য আলাদা করে বানানো হয়েছে সিঁড়ি।
অধিকাংশ বাসের রুট অনেকটা ঘুরিয়ে দেওয়ায় এমনিতেই ‘প্যাসেঞ্জার’ কম হচ্ছিল বলে ক্ষোভ জানিয়েছিলেন বাস মালিকরা। পাশাপাশি তাঁরা বলেছিলেন, জ্বালানির দাম বাড়ছে এদিকে ভাড়া বাড়ছে না। কিন্তু গন্তব্যে যেতে হচ্ছে প্রচুর ঘুরতি পথে। ফলে বিপুল পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে।
দক্ষিণ বা মধ্য কলকাতা থেকে উত্তরে যাওয়ার জন্য টালা ব্রিজ প্রথম থেকেই ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্রিজ ভাঙার পরে কার্যত দক্ষিণ থেকে উত্তর কলকাতায় যাওয়া একরকম ভোগান্তি হয়ে দাঁড়ায় যাত্রীদের কাছে। বেলগাছিয়ার খালপাড় ঘুরে, ঘিঞ্জি রাস্তায় ধুলো খেতে খেতে এই পথ পেরোতে বাধ্য হচ্ছিলেন যাত্রীরা। আবার ঘুর পথে যাওয়ার জন্য জ্বালানি ও খরচ হচ্ছিল আগের তুলনায় অনেক বেশি।
তাই টালা ব্রিজ ভেঙে ফেলার পরই বেশ কয়েকটি রুটে বাস বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাস মালিক এবং শ্রমিক সংগঠন। আগে থেকেই অনির্দিষ্টকালে জন্য বন্ধ হয়ে যায় ২৩০ নম্বর রুটের বাস। সেই তালিকায় নাম লিখিয়েছিল আরও কয়েকটি রুটের বাস।
78, 78/1, 214, 214/A, 230, 234, 234/1, 201, 34B, 34C, 30A, 202, k-4, S-158, S159, S-180, S-181, S-185 রুটে বাস চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাস মালিক এবং শ্রমিক সংগঠন।
এবার বাস পুরনো রুটেই ব্রিজ দিয়ে চালানোর প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে খুশি বাস মালিকদের সংগঠন এবং নিত্য যাত্রীরা।