আজ খবর ডেস্ক:
আটটি চিতার (Cheetah) নাম ওবান, ফ্রেডি, সাভানা, আশা, সিবলি, সাইসা এবং সাশা।
রবিবার আটটি নামিবিয়ান চিতার নাম পরিবর্তনের জন্য পরামর্শ চাইলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। মহালয়ার সকালে “মন কী বাত” (Mann Ki Baat) অনুষ্ঠানে চিতাদের (Cheetah) নতুন নামকরণের জন্য আমন্ত্রণ জানান মোদি। প্রসঙ্গত, নিজের জন্মদিনের সকালে, গত ১৭ই সেপ্টেম্বর কুনো জাতীয় উদ্যানে আন্তঃমহাদেশীয় পুনর্বাসন প্রকল্প চালু করেছিলেন মোদি।
বেশ বহাল তবিয়তেই আছে চিতারা। ইতিমধ্যেই তাদের ওপর সর্বক্ষণ নজরদারির জন্য এবং এখানকার পরিবেশের সঙ্গে তারা কতটা খাপ খাইয়ে নিতে পেরেছে তা দেখার জন্য একটি টাস্কফোর্স (Taskforce) গঠন করা হয়েছে।
তাদের ২৪ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। মজার বিষয় হল, এদের মধ্যে দুটি চিতা কিছুটা অলস প্রকৃতির, বলে মনে করছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা।
নামিবিয়া (Namibia) থেকে ভারতে আনা আট আফ্রিকান চিতার খাতির যত্নে কিন্তু একটুও ত্রুটি হচ্ছে না। এখনও পর্যন্ত সবকিছু স্বাভাবিক।
এখন এদের ১২ কিলোমিটার এলাকায় তৈরি বেষ্টনীতে রাখা হয়েছে। মধ্যপ্রদেশের শেওপুরের কুনো ন্যাশনাল পার্কে।
এই চিতা পরিবারের সদস্য একটি মহিলা চিতার নাম ‘আশা’ রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রথম দিনে চিতারা নিজেদের নতুন পরিবেশে দেখে একটু ঘাবড়ে গেলেও পরে তাদের সকলের আচরণই মোটর ওপর স্বাভাবিক এবং ইতিবাচক।
চিতাদের জন্য তৈরি করা বিশেষ বেষ্টনীর ভেতর বিচরণ করছে ভারতের এই নতুন অতিথিরা। এবং স্বাভাবিক। ৮টি চিতাই বেশ আরামে ঘুমোচ্ছে। মাঝে মাঝে ঘুরে বেড়াচ্ছে জঙ্গলের ভেতর। চিতাদের জন্য তৈরি করা বিশেষ বেষ্টনীতে খাওয়ার জন্য মাংস দেওয়া হচ্ছে। কুনো ন্যাশনাল পার্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সর্বক্ষণ এই চিতাদের নজরে রাখছেন তাঁরা।
প্রায় ৭৪ বছর পর আবার চিতার দেখা মিলল ভারতের মাটিতে। ১৯৫২ সালে চিতাদের “বিলুপ্ত” বলেই ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে এখন আবারও দেশের মাটিতে চিতা দেখা যাবে। এই চিতাগুলোকে পাহারা দেওয়ার জন্য ৯০টি গ্রামের ৪৫০ জনেরও বেশি মানুষকে রাখা হয়েছে। তাঁদের কাজ হল, চোরাশিকারিদের হাত থেকে চিতাদের বাঁচানো।
কুনো ন্যাশনাল পার্কের (Kuno National Park) বাফার জোন হল ১২৩৫ বর্গ কিলোমিটার, যা চিতাদের জন্য একেবারে আদর্শ।
পার্কের মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে কুনো নদী। কম ঢাল বিশিষ্ট পাহাড় আছে। এটি পান্না টাইগার রিজার্ভ (Panna Tiger Reserve) এবং শিবপুরী বনের দক্ষিণ-পূর্ব এলাকায় অবস্থিত।
এবার আসা যাক খাওয়া দাওয়ার প্রসঙ্গে।
কী কী খাদ্য দেওয়া হচ্ছে এই চিতাদের, জানেন?
এই এলাকার কাছাকাছি চম্বল নদী (Chambal River) বয়ে গেছে। চিতাদের জন্য রাখা থাকছে প্রচুর খাবার।যেমন চিতল, সাম্বার, নীলগাই, বন্য শুয়োর, চিঙ্কারা, চৌসিংহ, কৃষ্ণচূড়া, ধূসর লঙ্গুর, লাল মুখের বানর, ভাল্লুক, শেয়াল, হায়েনা, ধূসর নেকড়ে, সোনালি শিয়াল, বিড়াল, মঙ্গুস প্রভৃতি অনেক প্রাণী।
ফলে পেটপুজো যে বেশ ভালই হচ্ছে সে তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না। চিতারাও তাই খোশ মেজাজে ঘুরে বেরিয়ে দিব্যি দিন কাটাচ্ছে এই দেশে।