আজ খবর ডেস্ক:
বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হল স্কুল শিক্ষক ছেলে এবং মায়ের ঝুলন্ত দেহ (Mother and Son Dead body Found)।
মায়ের শাড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় স্কুল শিক্ষক (school teacher) ছেলে ও মায়ের ঝুলন্ত দেহ (hanging body) উদ্ধার হল ঘর থেকে। যা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগণার অশোকনগর (Ashoknagar) থানার বিড়া বান্ধব পল্লী এলাকায়।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে অবসাদে (Mental depression) ভুগছিলেন দুজনেই। খবর পেয়ে সোমবার সকালে অশোকনগর থানার পুলিস দেহ দুটি উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

মৃত ছেলে প্রমিত বিশ্বাস (৪৮), মা সুনন্দা বিশ্বাস (৬৮)।
জানা গিয়েছে, গত প্রায় ২৫ বছর ধরে স্নায়ুরোগে (Neuro Disease) ভুগছিলেন পেশায় প্রাইমারি স্কুল শিক্ষক প্রমিত। ছেলের জন্য চিন্তায় মা সুনন্দাও বেশ কয়েক বছর অবসাদে ভুগছিলেন। সুনন্দা দেবীও একসময় স্থানীয় একটি বেসরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ছিলেন। তবে হঠাৎ করে মা এবং ছেলের এই ধরনের ঘটনায় অবাক প্রতিবেশীরা। তবে আসলে ঠিক কী কারণে এই ঘটনা, বুঝতে পারছেনা কেউ। তবে অশোকনগর থানার পুলিসের পক্ষ থেকে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।

প্রতীকী ছবি


জানা গিয়েছে, রোজকার মত রবিবার দুপুরেও খাওয়া-দাওয়া সেরে বাড়ির ছোট ছেলে প্রমিত তাঁর মায়ের ঘরে ঘুমোতে যান। সন্ধেবেলা পরিবারের অন্যরা প্রমিতকে ডাকতে গিয়ে দেখেন, মায়ের ঘরের ভেতর জানালার সঙ্গে মায়ের শাড়ি দিয়ে খুলছেন তিনি। একই অবস্থায় দেখা যায় মা সুনন্দাকেও। তড়িঘরি খবর দেওয়া হয় স্থানীয় পুলিস ফাঁড়িতে। পুলিস পৌঁছে দুজনকে উদ্ধার করে অশোকনগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।

প্রতীকী ছবি

পরিবার সূত্রে খবর, অন্য দিনের মতো রবিবার পরিবারের সবার সঙ্গেই সময় কাটিয়েছেন মা ও ছেলে। প্রমিত মানসিক ভাবে অসুস্থ ছিলেন। তবে নিয়মিত স্কুলে যেতেন। ছাত্রছাত্রীদের পড়াতেন। তবে মাঝে মধ্যে নাকি অসংগলগ্ন কথাবার্তা বলতেন তিনি। প্রমিতের মা সুনন্দা এক জন অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষিকা। তাঁরা কি এক সঙ্গে আত্মহত্যা করলেন? না কি মৃত্যুর পিছনে কোনও সম্পত্তি বা পারিবারিক বিবাদ রয়েছে? আপাতত তা নিয়ে রহস্য ঘনাচ্ছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *