আজ খবর ডেস্ক:
ভোপালের (Bhopal Gas Leak) মাদার ইন্ডিয়া কলোনীর (Mother India Colony, Bhopal) একটি কারখানায় গ্যাস লিক করে গুরুতর অসুস্থ কয়েকশো মানুষ। ফিরল ৩৭ বছর আগের সেই ভয়াবহ স্মৃতি। ১৯৮৪ সালের ২রা ডিসেম্বর ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনায় (Bhopal Gas Tragedy) এই অঞ্চলেই রাতে ঘুমের মধ্যে সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী ৫,২৯৫ জন মানুষের প্রাণ যায়। বেসরকারি মতে, মৃতের সংখ্যা ছিল ১০ হাজারেরও বেশি।
সেই ভয়াবহ স্মৃতি এখনও এখানকার বাসিন্দাদের মনে টাটকা। এখনও অনেকেই যুঝে চলেছেন সেই পরিণামের সঙ্গে। এই এলাকায় অন্তত ৪০০ পরিবারের বাস। দ্রুত এলাকা ছাড়ার চেষ্টা করতে থাকেন বাসিন্দারা। ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। যদিও ভোপালের কালেক্টর অবিনাশ লাভানিয়া জানিয়েছেন, পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরনোর আগেই তা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
মধ্য প্রদেশের (Madhya Pradesh) রাজধানী ভোপালে বুধবার সন্ধেতে প্রথমবার গ্যাস লিক হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। অনেকেরই শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। রীতিমত অক্সিজেনের অভাব বোধ করেন এলাকার বহু বাসিন্দা। কাশতে শুরু করেন তাঁরা। একটি জল প্রকল্পের প্লান্ট থেকেই গ্যাস বেরতে শুরু করেছিল। অসুস্থ হয়ে পড়ায় বেশ কয়েকজন বাসিন্দাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়।
মধ্যরাতে কারখানা থেকে ফের গ্যাস লিক শুরু হয়। ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকে। আতঙ্কে মাঝরাতে ঘর ছেড়ে খোলা আকাশের নিচে আসার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায়।
ईदगाह हिल्स स्थित मदर इंडिया कॉलोनी में क्लोरीन के टैंक में रिसाव से आंशिक रूप से प्रभावितों से हमीदिया अस्पताल पहुंचकर मुलाकात की एवं उनके स्वास्थ्य की जानकारी ली। स्वास्थ्य में निरंतर सुधार है। चिकित्सक और अस्पताल प्रबंधन समुचित इलाज के लिए तत्परता से जुटे हुए हैं।#Bhopal pic.twitter.com/VXr41grUyQ
— Vishvas Kailash Sarang (@VishvasSarang) October 26, 2022
স্থানীয় সূত্রের খবর, রাত আড়াইটে নাগাদ হঠাৎই একটি পানীয় জলের কারখানা থেকে ক্লোরিন গ্যাস (Chlorine Gas) লিক করতে থাকে। ক্লোরিনের ঝাঁঝালো গন্ধে অসুস্থ হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। কারও শ্বাসকষ্ট, কারও তীব্র মাথা যন্ত্রণা, কারও বমি, কারও চোখ জ্বালা করা শুরু হয়। বেশ কয়েকজন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। দুটি শিশু গ্যাসের ঝাঁঝালো গন্ধে অজ্ঞান হয়ে যায়। তাদের দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, রাতে মোট ১৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।
তাঁদের শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে। যে শহরে সবথেকে ভয়াবহ গ্যাস দুর্ঘটনার নজির রয়েছে, সেখানে এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় ভয় পেয়ে যান এলাকার মানুষ।
প্রথমে সিলিন্ডারটি ঠিক করা হলেও পরে আবার সেটি থেকে ক্লোরিন লিক করতে থাকে। প্রায় আধঘণ্টা লিক হওয়ার পর পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সিলিন্ডারটিকে জলের মধ্যে ডুবিয়ে দেওয়া হয়। তারপর অবশ্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সিলিন্ডারে অন্তত ৯০০ কেজি ক্লোরিন গ্যাস ছিল।