আজ খবর ডেস্ক:
রাজ্য বিজেপিকে (Bengal BJP) ‘নিয়ন্ত্রণ’ করছে তৃণমূল (TMC) থেকে আসা কিছু নেতা। ব্রাত্য দলের পুরনো কর্মীরা।
জেপি নাড্ডা (JPNadda) -সহ বিজেপির Bjp Bengal শীর্ষ নেতৃত্বকে চিঠি দিলেন সায়ন্তন বসু (Sayantan Basu)। Present Status of Party affairs in the state of West Bengal-এই শীর্ষক চিঠি দেওয়া হয়েছে।


চিঠির ছত্রে-ছত্রে আক্রমণ করা হয়েছে বর্তমান রাজ্য নেতৃত্বকে। যাঁর অন্যতম মুখ নিঃসন্দেহে রাজ্যের বর্তমান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
সায়ন্তনের মূল অভিযোগ, ১৯৮০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত দলের কাজে যাঁরা প্রাণ পর্যন্ত দিয়েছেন, দলে তাঁদের মোটেও গুরুত্ব নেই। ফলে সংগঠনের নিচু তলায় গেরুয়া শিবিরের প্রভাব কমছে। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে তা টের পাবে বিজেপি।

সিবিআই এবং ইডি-র ভয় দেখিয়ে তৃণমূল নেতাদের ভাঙিয়ে আনার চেষ্টা চলছে বলেও দাবি করেছেন সায়ন্তন। সেই সঙ্গে তাঁর নির্দিষ্ট অভিযোগ, ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতাদের অপেক্ষাকৃত নিরাপদ আসনগুলি দেওয়া হয়েছিল। সেই জায়গায় দলের পুরনো কর্মীদের কঠিন লড়াইয়ের মুখে ঠেলে দেওয়া হয়। ফলে, দুর্গাপুর (পূর্ব), বিধাননগর, পানিহাটি, ব্যারাকপুর, সিঙ্গুর, সিউড়ি, জলপাইগুড়ি, সপ্তগ্রাম, কালনা, ভবানীপুরের মত আসনে হারতে হয়েছে বিজেপিকে। নেতৃত্বের অযোগ্যতাই এই ভরাডুবির কারণ।
সিপিআই এম (CPIM) প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন, দুর্নীতি ইস্যুতে (Corruption Issues) প্রতিদিন বিপাকে পড়ছে শাসকদল। অথচ রাজনৈতিক ভাবে বিরোধিতা করে কোনও লড়াই নেই রাজ্যের প্রধান বিরোধীদলের। অন্য দিকে বামেদের যুব সংগঠন ৩৫ হাজার কর্মী নিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি করেছে। তাদের একটাও ট্রেন বা গাড়ি ভাড়া করতে হয়নি।


তিনি আরও লিখেছেন, দল প্রচন্ড ভাবে সমাজমাধ্যমে সক্রিয়। কিন্তু তাতে কি সাফল্য আসবে? তার মতে, পঞ্চায়েত ভোটে দ্বিমুখী লড়াই হবে সিপিএম-তৃণমূলের মধ্যে। বিজেপি নেতা আরও লিখেছেন, দল জনগণের কাছে বিশ্বাসযোগ্য়াতা হারিয়েছে। বিজেপি এখন বিক্ষুদ্ধ তৃণমূলের দল।

সূত্রের খবর, চিঠির শেষ দিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সম্পর্কেও মন্তব্য করা হয়েছে। লেখা হয়েছে, বিরোধী দলনেতা-সহ দলের প্রবীণ সাংসদরাও এমন ভাবে শাসক শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্বকে আক্রমণ করছেন যাতে মনে হচ্ছে, তৃণমূলেরই দুই শিবিরের লড়াই চলছে। এর পরেই বলা হয়েছে, রাজ্যের মানুষের মনে এমন ধারণা তৈরি হচ্ছে যে, সিবিআই (CBI), ইডি-র (ED) ভয়ে আরও অনেকে বিজেপিতে যোগ দেবেন। রাজ্য বিজেপির উপরে মানুষের ভরসা কমছে।

‘দলবদলু’ তৃণমূল নেতারাই চালাচ্ছেন বিজেপি। ওই ‘দলবদলু’ নেতা বলতে সায়ন্তন আদতে শুভেন্দুকেই বোঝাতে চেয়েছেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। সায়ন্তন ওই বিষয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করেননি।
তবে রাজনৈতিক মহলের মতে যেহেতু শুভেন্দু ছাড়া বাকি তৃণমূল থেকে-আসা প্রায় সব নেতাই আবার তৃণমূলে ফিরে গিয়েছেন। শুধু শুভেন্দু স্বমহিমায় রয়ে গিয়েছেন। বিরোধী দলনেতা হিসেবে তিনি রাজ্য বিধানসভায় তাঁর ভূমিকা পালন করছেন। ফলে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও বক্তব্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে কতটা গুরুত্ব পাবে, তা-ও দেখার।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *