আজ খবর ডেস্ক:
অবশেষে ভোটের ফল ঘোষণা হল। কংগ্রেসের (INC/Congress) সভাপতি নির্বাচনে জয়ী হলেন গান্ধী পরিবার ঘনিষ্ঠ মল্লিকার্জুন খাড়্গে (Mallikarjun Kharge)। ৭৮৯৭ ভোট পেয়েছেন খাড়্গে, প্রতিদ্বন্দ্বী শশী থারুর (Shashi Tharoor) পেয়েছেন ১ হাজার ভোট। ৪১৬টি ভোট বাতিল হয়েছে।
কিন্তু গল্প এখানেই “শেষ হয়ে হইল না শেষ”। কারণ, নির্বাচনের ফল প্রকাশ হওয়ার আগেই শশী থারুর টুইট করে লেখেন, “জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি হওয়া অত্যন্ত গর্বের ও দায়িত্বের। আমি মল্লিকার্জুন খাড়্গেকে এই দায়িত্ব প্রাপ্তির জন্য শুভেচ্ছা জানাতে চাই। এক হাজারেরও বেশি সদস্যের সমর্থন পাওয়াও অনেক বড় সাফল্য।”
সেই সঙ্গে কংগ্রেস সভাপতি পদের নির্বাচনে রিগিংয়ের (Rigging) অভিযোগে সরব হয়েছেন শশী থারুর। যা দেখেশুনে রাজনৈতিক মহল বলছে, নজিরবিহীন ঘটনা।

রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) কংগ্রেস সভাপতি হতে চাননি। এতদিন অস্থায়ী ভিত্তিতে দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। এখন সোনিয়া অসুস্থ, মাস করেক আগেই কোভিড (Covid) আক্রান্ত হয়ে বেশ কয়েক দিন কাটাতে হয়েছে হাসপাতালে। ফলে সভাপতি নির্বাচন জরুরি ছিল কংগ্রেস শিবিরের জন্য।
এদিন ফল ঘোষণার পর বলা যেতেই পারে, প্রায় দীর্ঘ আড়াই দশক পর গান্ধী পরিবারের বাইরে কেউ কংগ্রেসের সভাপতি হলেন। বিপুল ব্যবধানে জিতে সভাপতির পদে বসলেন গান্ধী পরিবারের একান্ত অনুগত মল্লিকুজুন খড়্গে।
মঙ্গলবার গণনার পর দেখা যায় কেরলের (Kerala) কংগ্রেস সাংসদ শশীকে বিপুল ব্যবধানে হারিয়েছেন মল্লিকার্জুন।
ভোট পড়েছিল ৯৩৮৫টি, তার মধ্যে মল্লিকার্জুন পেয়েছেন ৭৮৯৭ ভোট। শশীর ঝুলিতে গিয়েছে মাত্র ১০৭২টি ভোট।

ভোট প্রসঙ্গে কংগ্রেসের সেন্ট্রাল ইলেকশন অথরিটি (CEA of Congress) বলছে, গোটা দেশ জুড়ে মোট ভোটগ্রহণ কেন্দ্র ছিল ৩৬টি। বুথের সংখ্যা ৬৭। প্রতি ২০০ ভোটার পিছু একটি করে বুথ নির্ধারিত করা হয়েছিল। ‘ভারত জোড়ো’ (Bharat Jodo) যাত্রার কারণে কর্নাটকের বল্লারির সাঙ্গানাকাল্লুর শিবির থেকে ভোট দেন রাহুল। তাঁর সঙ্গে ভোট দেন যাত্রায় অংশ নেওয়া প্রায় ৫০ জন। সভাপতি নির্বাচনের জন্য গোপন ব্যালটে হয় ভোটগ্রহণ। এই প্রথম বার ভোটদাতাদের কিউআর কোড-সহ পরিচয় পত্র দেয় সিইএ। পরিচয় পত্র ছাড়া ভোট দেওয়া যায়নি। ভোট গ্রহণের জন্য ৯৪৩ জন রিটার্নিং অফিসারও নিয়োগ করে কংগ্রেস
কংগ্রেস শিবিরের অন্দরে শুরু থেকেই গুঞ্জন ছিল, লড়াইয়ে এগিয়ে খড়্গে। সভাপতি পদে নির্বাচনের সময় রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট এবং দিগ্বিজয় সিং ঘোষণা করেছিলেন , তাঁরাও ভোটে মনোনয়ন পেশ করবেন। শেষ পর্যন্ত অবশ্য দু’জনেই সরে যান। খড়্গের নাম প্রস্তাব করেন দিগ্বিজয়।

এদিন সকাল দশটা থেকে গণনা শুরু হয়। তবে আনুষ্ঠানিক ভাবে ফল ঘোষণার আগেই ভোটে কারচুপির অভিযোগ করেন অপর প্রার্থী শশী থারুর। এই বিষয়ে তিনি কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মধুসূদন মিস্ত্রিকে চিঠি লিখেছেন বলেও জানা গিয়েছে।


চার পাতার চিঠিতে তিনি অভিযোগ করেছেন, ব্যালট বক্সে আন-অফিশিয়াল সিল ব্যবহার করা হয়েছে। পোলিং বুথে অনুমতি ছাড়াই একাধিক ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। ভোটিং পদ্ধতিতেও কারচুপি হয়েছে এবং গণনার কোনও সামারি শিটও (Summary Sheet) দেওয়া হয়নি।
থারুর শিবিরের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, ভোট প্রক্রিয়ায় “অত্যন্ত গুরুতর অনিয়ম’ হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের ভোট ‘অবাধ এবং স্বচ্ছ নয়”।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *