আজ খবর ডেস্ক:
মাঝে মাত্র কয়েকদিন। তবে লক্ষ্মীপুজো মিটতেই রাজ্য জুড়ে কালীপুজোর (Kali Puja/Diwali) তোড়জোড় শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার আসন্ন দীপাবলি (Diwali) ও ছটপুজোয় (Chhath Puja) বাজি পোড়ানো নিয়ে নয়া নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।

এদিন আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হল, বিক্রির জন্য বাজারে নিয়ে আসা বাজি কতটা পরিবেশবান্ধব (Eco- Friendly), তা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব শুধুমাত্র রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের (Pollution Control Board) নয়। একই সঙ্গে এই দায়িত্ব সামলাবে কেন্দ্রের দুই সংস্থা:
১) National Environmental Engineering Research Institute (NEERI)
২) Petroleum & Explosives Safety Organisation (PESO)

গত বেশ কয়েক বছর ধরেই মূল আপত্তি উঠছে শব্দবাজি নিয়ে। বাজি ফাটানোর ফলে পরিবেশ দূষণও হয়। তাই আগেভাগে এবার বাজি নিয়ে কড়া হল কলকাতা হাইকোর্ট ।
কলকাতার বাজি (Fire Crackers) বাজারে সবুজ বাজি বিক্রি ও ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে পুলিশকে। ছুটির পর এ সংক্রান্ত রিপোর্ট নেবে হাইকোর্ট।


বস্তুত, প্রতিবছরই পরিবেশ দূষণ রুখতে সবুজ বাজি (Green Crackers) পোড়ানোর দাবিতে আদালতে মামলা হয়। এবারও অন্যথা হয়নি। হাই কোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল।


কী ধরনের বাজি ব্যবহার হবে, এই সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি ছিল মঙ্গলবার। আদালত এদিন জানায়, বাজি বাজারে সবুজ’ বাজি বিক্রি হচ্ছে কী না, তা নিশ্চিত করতে হবে পুলিশকে।
ছুটির পর আদালত খোলার সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই কলকাতা পুলিশের কমিশনারকে এই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট জমা দিতে হবে।

কলকাতা পুলিশকেও (KP) একগুচ্ছ নির্দেশিকা দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। বলা হয়েছে,

  • কলকাতায় বাজি বাজারে যাতে সবুজ বাজি বিক্রি ও ব্যবহারের ব্যাপারেও নিশ্চিত করতে হবে পুলিশকে।
  • বাজি নিয়ে আদালতের নির্দেশ কার্যকর হল কী না, তার রিপোর্ট দিতে হবে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে।
  • পুজোর ছুটির পরে কোর্ট খোলার এক সপ্তাহের মধ্যে এই রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে।
    তবে পরিবেশ কর্মীদের একাংশ মনে করিয়ে দিচ্ছেন, পশ্চিমবঙ্গের সবুজ বাজি তৈরির কোনও পরিকাঠামো নেই। পুরোটাই বাইরে থেকে নিয়ে আসতে হয়। ফলে দাম অনেকটাই বেশি হয় অন্যান্য বাজির তুলনায়। সেই কারণে আমজনতার মধ্যেও সবুজ বাজির প্রতি আগ্রহ বা ব্যবহার বানানো যাচ্ছে না। সেই সঙ্গে নজরদারির অভাবে এবং সস্তা হওয়ার কারণে সহজে ই পাওয়া যাচ্ছে ধোঁয়া এবং শব্দ বেশি হয় এমন ধরণের বাজি।

উল্লেখ্য, গত বছর পরিবেশ রক্ষার্থে বাজি নিষিদ্ধ করার আবেদন জানিয়ে দুটি জনস্বার্থ মামলা (PIL) দায়ের হয়েছিল হাইকোর্টে। সেই মামলার শুনানিতে রাজ্যের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, এখানে সবুজ বাজি তৈরির পরিকাঠামো নেই। গত বছর তাই বাজি বিক্রি ও ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল হাইকোর্ট। এবছর সেই নিয়ে আরও কড়া পদক্ষেপ নিলেন বিচারপতিরা।


তাই সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court of India) ও পরিবেশ আদালতের (National Green Tribunal) নির্দেশ মেনে সবুজ বাজি তৈরি ও বিক্রির বিষয়ে সহযোগিতা ও নজরদারি করবে দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *