আজ খবর ডেস্ক:
ভিড়, গরম, রেস্তোরাঁর বাইরে লম্বা লাইনের সঙ্গে উপরি পাওনা, ঘূর্ণাবর্তের চোখ রাঙানি। এসব থেকে গা বাঁচিয়ে পুজোয় ভরপেট ভাল-মন্দ খেতে চান? চিন্তা নেই, হাত বাড়ালেই মিলবে জমাটি আয়োজন। ঘরের দরজায় পৌঁছে যাবে পুজো স্পেশাল থালি (Puja Special Thali)।
ষষ্ঠী থেকে দশমী অনলাইনেই মিলবে ইলিশ পাতুরি থেকে কচি পাঁঠার ঝোল! আয়োজন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পঞ্চায়েত দপ্তর (West Bengal Panchyat Department)।
পুজোর পাঁচ দিনই নানা স্বাদের খাবারের আয়োজন করেছে রাজ্য পঞ্চায়েত দপ্তরের অধীন ওয়েস্ট বেঙ্গল কম্প্রিহেনসিভ এরিয়া ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (CADC)।

হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) নম্বরে খাবারের অর্ডার দিলেই নির্দিষ্ট দামের বিনিময়ে মিলবে সুস্বাদু খাবার। অবশ্য শুধুমাত্র দুপুরের খাবারের ক্ষেত্রে এই পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। মূলত কলকাতা পুরসভা এলাকার (KMC Area) সঙ্গে বিধাননগর (Bidhannagar Municipality), দক্ষিণ দমদম (South Dumdum Municipality) ও বরাহনগর পুরসভায় (Baranagar Municipality) এই পরিষেবা দেবে সিএডিসি।
দিন কয়েক আগেই সিএডিসির নতুন লোগো প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) । একই সঙ্গে আত্মপ্রকাশ করেছে নতুন ব্র্যান্ড “মৃত্তিকা”। এবার এই ব্র্যান্ডকে সামনে রেখেই খাবার পরিবেশন করবে এই সংস্থা । যেহেতু নতুন ব্র্যান্ড, তাই খাদ্যের গুণগত মান নিয়েও সতর্ক থাকছে পঞ্চায়েত দপ্তর।
জানা গিয়েছে, প্রতিটি পদ রাজ্যের মানুষের দরজায় পৌঁছে দেওয়ার আগে তার গুণগতমান পরীক্ষার জন্য এনএবিএল (NABL) অ্যাফিলিয়েটেড ল্যাবে পাঠানো হবে।

১) সপ্তমীর মেনুতে থাকছে স্বর্ণচূড়া চালের ভাত ৷ সঙ্গে মাছের মাথা দিয়ে ডাল, ফিস ওরলি (ভেটকি দুই টুকরো), কাতলা কালিয়া, ইলিশ পাতুরি, চাটনি ও মিষ্টি ৷ সব মিলিয়ে এ দিনের মেনুর জন্য খরচ পড়বে থালা পিছু ৫০০ টাকা ৷

২) অষ্টমীতে থাকছে নিরামিষ নানা পদ ৷ সেদিন আপনি পাবেন খিচুড়ি, লাবড়া, বেগুনি, বাসন্তী পোলাও, ছানার পুর ভরা পটলের দোলমা, ছানার কোফতা, চাটনি আর মিষ্টি ৷ স্বাদ পেতে খরচ হবে ৪৭৫ টাকা।


এছাড়াও যাঁরা সবসময় আমিষ খেতে পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য একটি ‘স্ট্যান্ডার্ড মেনু’ থাকছে ৷ তাতে থাকছে পোলাও এবং বনমোরগ কষা (চার টুকরো) অথবা ইলিশ পাতুরি এবং পোলাও ৷ এর মধ্যে যেকোনও একটি ‘কম্বো’ কিনতে খরচ হবে ২৮০ টাকা ৷

৩) নবমীর মেনুতে মিলবে ঝরঝরে বাসমতি চালের ভাত, গাওয়া ঘি, শুক্তো, ভেটকি পাতুরি, কচি পাঁঠার ঝোল (চার টুকরো), চাটনি এবং মিষ্টি ৷ দাম, ৫৫০ টাকা ৷

৪) দশমীর থালায় থাকবে রানাঘাটের পান্তুয়া, শক্তিগড়ের ল্যাংচা, কালনার রসগোল্লা, নদিয়ার নিকুতি (৫০ গ্রাম), পশ্চিম মেদিনীপুরের বালুশাই এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠী মহিলাদের বাড়ির তৈরি পায়েস ৷

দশমীর মেনুতে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে মিষ্টির ওপর ৷ কারণ ওই দিন বাঙালির কাছে মিষ্টিমুখ সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। একইসঙ্গে, এদিনের মেনুতে পাওয়া যাবে সাদা পোলাও, নবরত্ন কোরমা এবং ঝুরঝুরে আলু ভাজা ৷ সব মিলিয়ে এর জন্য খরচ করতে হবে ৩৭৫ টাকা ৷
এছাড়াও, ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত ডিনার মেনুতে থাকবে চিকেন বিরিয়ানি এবং চিকেন চাপ ৷ দাম ২৫০ টাকা।

প্রতিদিনের খাবার আগের দিন রাত আটটার আগেই ‘অর্ডার’ করতে হবে ৷ এক্ষেত্রে দুপুরের খাবারের জন্য ৫০০ এবং রাতের খাবারের জন্য ২০০ প্লেট খাবারের ‘অর্ডার’ নেওয়া হবে ৷ এর থেকে বেশি কোনও ‘অর্ডার’ গ্রহণ করা হবে না ৷ খাবার ‘অর্ডার’ করার জন্য মোট চারটি নম্বর দেওয়া হয়েছে ৷ এগুলি হল, 8240622346, 9432207131, 9735929413 এবং 9734399915 ৷ এই নম্বরগুলিতে হোয়াট্স অ্যাপ করে খাবারের ‘অর্ডার’ দেওয়া যাবে ৷

খাবার পাবেন (Delivery Area) দমদম বিমানবন্দরের ১ নম্বর গেট এলাকা থেকে ইএম বাইপাস ধরে গড়িয়া পর্যন্ত এবং উত্তরে ডানলপ থেকে দক্ষিণে বেহালা পর্যন্ত এলাকায় বসবাসকারীরা ৷
কলকাতা এবং বিধাননগর-নিউ টাউনকে (New Town) সংযুক্ত করেই এই পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে ৷ এছাড়াও, বিধাননগর এবং উত্তর কলকাতার জগৎ মুখার্জি পার্ক, কুমোরটুলি সার্বজনীন, টালা বারোয়ারি, বাগুইআটি জোড়া মন্দির, সল্টলেকের সিএ ও সিআই ব্লকে মোট আটটি স্টলও দিচ্ছে WBCADC ৷

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *