আজ খবর ডেস্ক:
ষষ্ঠীর রাতেই প্রবল বৃষ্টিতে শর্ট সার্কিটের (Short Circuit) ভয়ে রাজ্য প্রশাসনের তরফে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল কল্যাণীর (Kalyani) “টুইন টাওয়ার”।
এবার জেলার পুজোগুলোর মধ্যে কার্যত “সুপারহিট” তকমা মিলেছিল কল্যাণীর আইটিআই মোড়ের টুইন টাওয়ারের (Twin Tower) আদলে তৈরি মন্ডপের লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো (Light and Sound Show)।


সপ্তমীতে বন্ধ হল কলকাতার আরেক ক্রাউডপুলার পুজো সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের আলোর প্রদর্শনী। মহালয়ার পর থেকে এমনিতেই কলকাতা জুড়ে পুজো দেখার ঢল নেমেছিল। অবশ্য পিছিয়ে ছিল না জেলার বিভিন্ন পুজো। তবে, বৃষ্টি উপেক্ষা করে পঞ্চমীর রাত থেকেই শহরের রাজপথে যেন উপচে পড়েছে মানুষের ভিড়।
খিদিরপুর থেকে টালিগঞ্জ, বাগবাজার থেকে শিয়ালদহ শুধুই মানুষের মাথা। একটা সময়ের পর কার্যত থমকে গেছে যানবাহন চলাচল। শুধু বড় রাস্তাই নয়, অলিগলিতে আবার পার্কিংয়ের জমাট ভিড়।
কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ (Kolkata Traffic Police) সূত্রে খবর, রবিবার দুপুর থেকেই যানজট বেড়েছে বিটি রোড, শ্যাম বাজার, হাতিবাগান, কলেজ স্ট্রিট, সেন্ট্রাল এভিনিউতে।

মাঝের দু’বছর করোনা আবহে পুজোর উদ্যমে কিঞ্চিৎ ভাঁটার টান ছিল। ফলে এবছর মহালয়ার পর থেকেই রাস্তায় নেমে পড়েছেন মানুষ।
যদিও সপ্তমীতে ছন্দপতন। এবার খাস কলকাতায় সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার (Santosh Mitra Square)। প্রবল ভিড়ের চাপে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হল মণ্ডপের লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো (light and sound show)।
কলকাতার নামি পুজোগুলোর মধ্যে অন্যতম আকর্ষণ নিঃসন্দেহে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার অর্থাৎ লেবুতলা পার্কের পুজো। দীর্ঘদিন ধরে শিয়ালদহ লাখোয়া এই পুজো প্রদীপ ঘোষের পুজো বলেই পরিচিত ছিল। এখন তাঁর ছেলে বিজেপি (BJP) কাউন্সিলর সজল ঘোষ এই পুজোর মূল উদ্যোক্তা।


লেবুতলা পার্কের এই বছরের থিম “স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব।” ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ক্ষুদিরাম বসু, ভগৎ সিং, চন্দ্রশেখর আজাদ, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু বিনয়-বাদল-দীনেশ, মহাত্মা গান্ধী সহ বিভিন্ন স্বাধীনতা সংগ্রামীর জীবনী লেজার শো (Laser Show) লাইট অ্যান্ড সাউন্ড-এর মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে লালকেল্লার আদলে তৈরি মণ্ডপে।

আর সেই আলোর প্রদর্শনী দেখতে দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে। কর্তব্যরত পুলিশের দাদি এই ভিড় সামলাতে নাজেহাল হতে হচ্ছে তাঁদের। সে কারণেই সপ্তমীর রাত ১০.৩০ নাগাদ বন্ধ করে দেওয়া হয় এই পুজোর মূল আকর্ষণ লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো।

এই ঘটনা ঘিরে আরেকবার উৎসবের আবহে বিবাদে জড়াল তৃণমূল (TMC) ও বিজেপি (BJP)। তৃণমূল প্রশাসনের দিকে আঙুল তুলেছেন সজল ঘোষ। তাঁর দাবি, ‘পুলিশ ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। এটা তাদের ব্যর্থতা। আসলে তৃণমূল নেতাদের পুজোয় ভিড় নেই। সেখানে ঝালমুড়ি বিক্রি হচ্ছে না। এবারে লেবুতলা পার্ক একা, বাকি সব ফাঁকা।’ হিংসা থেকেই তৃণমূল ইচ্ছাকৃতভাবে এসব করছে বলে দাবি তাঁর।


পাশাপাশি সজলের প্রশ্ন, তৃণমূল সরকারের মন্ত্রী সুজিত বসুর শ্রীভূমিতে পুজোর আগে থেকেই প্রবল ভিড়। উল্টোডাঙ্গা থেকে এয়ারপোর্টগামি বাইপাস কার্যত অবরুদ্ধ। সেখানে কেন পুলিশ কিছু করছে না?


অবশ্য সজল ঘোষের এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। এসব অভিযোগকে হাস্যকর বলে তাঁরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, এর আগেও ভিড়ের চাপে দেশপ্রিয় পার্কের পুজো মণ্ডপ দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। এর মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *