আজ খবর ডেস্ক:
জমির বদলে চাকরি কেলেঙ্কারির (Rail Job Scam) মামলায় লালুপ্রসাদ যাদব (Lalu Prasad Yadav) ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে চার্জশিট (Chargesheet) দাখিল করেছে সিবিআই (CBI)। এই ঘটনায় সব মিলিয়ে ১৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।
২০০৮ সালের প্রায় এই মামলায়, সিবিআই এর আগে বিহার (Bihar), ঝাড়খণ্ড (Jharkhand) এবং হরিয়ানার (Haryana) প্রায় ২৫ টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছিল। শুক্রবার পেশ করা চার্জশিটে সিবিআই, আরজেডি (RJD) সভাপতি লালু প্রসাদ যাদব, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবী, লালু কন্যা তথা রাজ্যসভার সাংসদ মিসা ভারতী, আরেক কন্যা হেমা যাদবের নাম উল্লেখ করেছে।
যদিও আরজেডিক তরফ থেকে গোটা বিষয়টিকে বিজেপির (BJP) “রাজনৈতিক প্রতিহিংসা” বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

আইআরসিটিসি কেলেঙ্কারির (IRCTC Scam) তদন্তের সময়, চাকরির বিনিময়ে জমি কেলেঙ্কারির বিষয়টি সিবিআইয়ের সামনে আসে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, সেসময় চুক্তির বহু কাগজপত্র তাদের কাছে পেশ করা হয়েছিল যেগুলি রেলে চাকরির সঙ্গে সম্পর্কিত।
২০১৭ সালে, বিহারের প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার মোদি, লালু প্রসাদের বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার জন্য জমি লিখে দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন। এর আগেও সিবিআই তদন্তে দেখা গেছে, পাটনার ১১ জন এবং গোপালগঞ্জের ১জনকে গোপনে রেলমন্ত্রী থাকাকালীন চাকরি দিয়েছিলেন লালু প্রসাদ যাদব। সেক্ষেত্রেও চাকরির বিনিময়ে জমি লিখিয়ে নেওয়ার বিষয়টি সামনে আসে।

প্রসঙ্গত, ইউপিএ সরকারের (UPA1) প্রথম মেয়াদে রেলমন্ত্রী ছিলেন লালু প্রসাদ যাদব। সিবিআই তদন্তে উঠে এসেছে, রেলমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি ১২ জনকে চাকরি দিয়েছিলেন এবং তাদের থেকে বিপুল পরিমাণে জমি নিজের নামে লিখিয়ে দিয়েছিলেন। পুরো বিষয়টি ২০০৪ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে ঘটে। সিবিআই এই বিষয়ে সাতটি আলাদা মামলা দায়ের করে। এই মামলার তদন্ত শুরু হয়েছিল গত বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে।


সিবিআইয়ের দাবি, লালুপ্রসাদ রেলমন্ত্রী থাকার সময় বিভিন্ন ‘অযোগ্য’ ব্যক্তিকে মুম্বই, জব্বলপুর, কলকাতা-সহ রেলের বিভিন্ন জ়োনে চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন। অবৈধ উপায়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা টাকা নেওয়া হয়েছিল। এমনকী সিবিআইয়ের দাবি, অনেকেই জমি বিক্রি করে এই টাকা জোগাড় করেছিলেন।
এই দুর্নীতির তদন্তে গত মাসেই বিহারে একাধিক আরজেডি নেতার বাড়ি এবং দলীয় কার্যালয়ে তল্লাশি চালায় সিবিআই। যে সব নেতার বাড়ি তল্লাশি চলে, তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিধান পরিষদ সদস্য সুনীল সিং, আরজেডির রাজ্যসভা সদস্য আশফাক করিম ও ফৈয়াজ আহমেদ এবং প্রাক্তন বিধান পরিষদ সদস্য সুবোধ রাই।


মাস কয়েক আগেই জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন লালু প্রসাদ যাদব। কিডনি সংক্রান্ত অসুখের কারণে বিদেশে চিকিৎসা করাতে যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। এই পরিস্থিতিতে সিবিআইয়ের এহেন তদন্ত তৎপরতা কি আরও বিপাকে ফেলতে পারে লালু পরিবারকে? প্রশ্ন সেখানেই।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *